কাহিনি-সংক্ষেপ মার্সগ্রহের পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে লিনিয়ন প্রজাতির জন্মহারের চেয়ে মৃত্যু হার তিন গুণ বেড়ে গিয়েছিল। ফলে লিনিয়ন প্রজাতির বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়। তাই বিজ্ঞানী লিনিমিক-এল মানুষের জিনমের সাথে লিনিয়নের জিনম ক্লোনিং করে বিপুল প্রজনন-ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন প্রজাতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন। ফলে একদা তিনি পৃথিবীতে আসেন। একসময় লিনিমিক-এল নীলুকে মার্সগ্রহে নিয়ে যান। পরবর্তীকালে তার গবেষণায় নীলুর ক্লোনের শুক্রাণু ও লিনিয়ন নারীদের ডিম্বাণু থেকে জন্মলাভ করে একশ নতুন শিশু। লিনিমিক-এল এই নতুন প্রজাতির নাম দিলেন Ñ নিলিম্যান। ফলে মার্সগ্রহে নীলুকে রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হলো। নীলু পৃথিবীতে ফিরে এলো। এ ঘটনার পর নীলু জানতে পারে তার চাচার পালিতপুত্র জিতু একজন লিনিয়ন। সে নীলুকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। ফলে নীলু-প্রকল্প শেষ হলে জিতুকে ফিরিয়ে নিতে লিনিমিক-এল পৃথিবীতে এলেন। তখন নীলু তার দেহজাত প্রজন্ম নিলিম্যানদের প্রতি প্রবল টান অনুভব করল। সে তার দেহজাত সৃষ্টি নিলিম্যানদের স্মৃতিতে অনন্তকাল অমর হয়ে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে। নীলুর ইচ্ছাটার যৌক্তিকতা অনুভব করে লিনিমিক-এল প্রতিশ্রুতি দেন, যতদিন মার্সগ্রহে লিনিম্যানদের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন তারা নীলুকে তাদের আদিপিতা হিসেবে সম্মান করবে এবং তার প্রতি তাদের ভালোবাসা অনন্তকাল প্রবহমান থাকবে। উল্লেখ্য যে, এ উপন্যাসটি নীলু সিরিজভুক্ত। তাই এই উপন্যাসের নীলুও মাহেন্দ্রক্ষণে জন্মলাভকারী বিরল সংখ্যক মানুষদের একজন। ‘গ্যালাকটিক ফেডারেশন’ নামের ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংগঠনের প্রধান লিনিমিক এল সম্ভবত সে কারণে তাকে পৃথিবীর এজেন্ট নির্বাচন করেছেন। অবশ্য নীলু বিষয়টি জানে না। তবে সে প্রায়শ তার সত্তায় অসাধারণ ক্ষমতা অনুভব করে। তখন নিজের অজান্তেই সে ঘটিয়ে ফেলে অভাবিত-অলৌকিক ঘটনা।