লেখক পরিচিতি - মাহরীন ফেরদৌস ২০১০ সাল থেকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে লেখালেখির জগতে আসা। স্বাধীনচেতা, অন্যমনা। ভালোবাসেন স্বপ্ন দেখতে, মানুষকে নিয়ে ভাবতে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় জীবন খুঁজে পান। বিদেশি লেখকদের মধ্যে প্রিয়র তালিকায় আছেন মাক্সিম গোর্কি, ও হেনরি এবং পাওলো কোয়েলহো। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির মধ্যে নিজের ভালোলাগাকে খুঁজে পেতেন। বইয়ের জগতে আত্মপ্রকাশ একুশের বইমেলা ২০১৩- , তে তার ছোটগল্পের সংকলন নগরের বিস্মৃত আঁধারে-এর মাধ্যমে। ২০১৪ -তে প্রকাশিত হয়েছিল তার প্রথম সম্পূর্ণ উপন্যাস, কিছু বিষাদ হোক পাখি। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর এল লেখিকার দ্বিতীয় উপন্যাস, এই শহরে মেঘেরা একা। বাস্তবতার নিরেট ব্যস্ততার মাঝেও মানুষ ফেরি করে বেড়ায় স্বপ্ন, কখনো স্বজ্ঞানে, কখনো অজান্তে। ভালো থাকার দুর্দম ইচ্ছে নিয়েই পথ চলুক অযুত মানুষ, মেঘের মতোই ডানা মেলুক নীল আকাশে।
ফ্ল্যাপে লেখা কথা - গল্প জেগে উঠে জীবন থেকেই। অযুত বছর ধরে জমে থাকা স্বপ্নকথাই এক একটা শব্দের গাঁথুনিতে সৃষ্টি করে গল্প। যে গল্প মানুষের পারস্পরিক দ্বন্দের, স্বপ্নভঙ্গের, বেঁচে থাকার কিংবা কারো হারিয়ে যাবার। সেই গল্পের আকার যখন বিষণ্ণতার মেঘে মিশে মহীরুহ হয়ে ওঠে, জীবন আর স্বপ্নের কাঁটাতারে তখন বাঁধা থাকে সামান্যই। স্বপ্ন যেখানে জীবনের চোখ রাঙ্গানিতেও রঙ হারায় না, গল্পগুলো হয়ত সঞ্জীবনী খুঁজে পায় সেখানেই। এইসব কিছুর ভীড়েই গল্প খুঁজে বেড়ায় একটি মেয়ে। বিষণ্ণতায় ডানা মেলে ওর স্বপ্নগুলো। মেঘ হয়ে কোন এক দূর অজানায় নিজেকে খুঁজে পেতে আকুল মেয়েটি একটু একটু করে আবিষ্কার করে, প্রাত্যাহিকতায় আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা ওর আশেপাশের মানুষগুলোও ডুবে আছে আকাশ সমান স্বপ্নে। সে টের পায় এই এক পলকের ছোট্ট জীবনটাকে অযথাই খুব জটিল করে ফেলি আমরা। মনোগ্রাফে দাগ কেটে যাওয়া সময়গুলোকে আমরা নিতান্ত অবহেলাতে কোন এক ধুলোপড়া কোণে ছুঁড়ে দেই। আমরা ভুলে যাই, এই পৃথিবীতে আমাদের গল্প লিখা হয় একবারই....
মাহরীন ফেরদৌস, জন্ম ঢাকায়। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী। লেখাপড়া করেছেন ব্যবসায় শিক্ষা ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি বিষয়ে। সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত আছেন ২০১০ সাল থেকে। কয়েক বছর ‘একুয়া রেজিয়া’ নামের আড়ালে থেকেই প্রকাশ করেছেন গল্প, উপন্যাস। পেয়েছেন পাঠক-প্রিয়তা। ‘অরিগামির গোলকধাঁধায়’ তাঁর পঞ্চম গল্পগ্রন্থ।