Sort

Reset Sort

Filter

Reset Filter

Shop by Categories

By Publishers

Price

Languages

Discount

Ratings

Professor Kazi Jaker Hossain books

follower

প্রফেসর কাজী জাকের হোসেন

অ্যামেরিটাস অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন (জন্ম: কুমিল্লা, জানুয়ারি ১৯৩১) ঢাকা পাঞ্জাব এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে "Oxford University Expedition to British Guiana (South America)-এর অন্যতম সদস্য ছিলেন।” দেশেও তিনি অনেক অভিযাত্রায় অংশ নেন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল শিক্ষকতার পর তিনি অবসর নেন। অধ্যাপনাকালে তিনি একসময় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন এবং স্বল্পকাল ট্রেজারারের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিষয়ক সিলেবাস চালু করেন, যার ফলে দেশে শতশত পাখি পর্যবেক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মতে তিনি এ দেশের পাখি বিষয়ক গবেষণা ও চর্চার পথিকৃৎ। তিনি সরকারকে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে প্ররোচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অর্ডার, ১৯৭৩। তিনি এই বিভাগের শিক্ষক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে প্রাণী জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে এই বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা পদ্মা বহুমুখী সেতু চত্বরে একটি আধুনিক প্রাণী জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশী ও বিদেশী জার্নালে তাঁর প্রায় ৮০টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের ওপর তাঁর তিনটি বই আছে। তাছাড়া জীবনের ছোটখাট বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রামের (UNEP) পক্ষ থেকে "Global 500 Roll Of Honour Environmental Achievement" পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯২ সালে তাঁকে দেশের শ্রেষ্ঠতম বেসামরিক পুরস্কার "স্বাধীনতা দিবস স্বর্ণপদক” প্রদান করে, বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতি তাঁকে ১৯৯৩ সালে সিলভার জুবিলি স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালুমনি এসোসিয়েশন তাঁকে এসোসিয়েশনের ক্রেস্ট প্রদান করে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতি, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণীতত্ত্ব সমিতি, বাংলাদেশ পাখি সংরক্ষণ সমিতি, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা সমিতি এবং বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা যুব সমিতি ক্রেস্ট উপহার দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেন। তাছাড়া আমেরিকান বায়োগ্রাফিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাঁকে সম্মান করে। অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন সব মহাদেশে গিয়েছেন এবং প্রায় ৪০টি দেশে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক বছর অতিবাহিত করেছেন। তিনিই প্রথম (এবং সম্ভবতঃ শেষ) বাংলাদেশী-যিনি সুদূর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ক্ষুদ্র শেটল্যান্ড দ্বীপ ও ফেয়ার দ্বীপ ভ্রমণ করেছেন। দু'টি কন্যা ও দু'টি ছেলের জনক অধ্যাপক কাজী জাকের হোসেন জীবদ্দশায় বন্যপ্রাণী, পরিবেশ ও অন্যান্য সামাজিক সমস্যার ওপর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। অধ্যাপক হোসেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ বিভাগে অধ্যাপক অ্যামেরিটাস হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রফেসর কাজী জাকের হোসেন এর বই সমূহ

(Showing 1 to 13 of 13 items)

Recently Viewed