mega fest banner
bornomala bike
বিশ্বাসের কথা ইসলামি ৯টি বইয়ের কালেকশন image

বিশ্বাসের কথা ইসলামি ৯টি বইয়ের কালেকশন (হার্ডকভার)

by ডা. শামসুল আরেফীন

TK. 2,212 Total: TK. 1,815

(You Saved TK. 397)
  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10
  • Look inside image 11
  • Look inside image 12
  • Look inside image 13
  • Look inside image 14
  • Look inside image 15
  • Look inside image 16
  • Look inside image 17
  • Look inside image 18
  • Look inside image 19
  • Look inside image 20
  • Look inside image 21
  • Look inside image 22
  • Look inside image 23
  • Look inside image 24
  • Look inside image 25
  • Look inside image 26
  • Look inside image 27
  • Look inside image 28
  • Look inside image 29
  • Look inside image 30
  • Look inside image 31
  • Look inside image 32
  • Look inside image 33
  • Look inside image 34
বিশ্বাসের কথা ইসলামি ৯টি বইয়ের কালেকশন
Clearance Image

Ends in

00 : Day
00 : Hrs
00 : Min
00 Sec

বিশ্বাসের কথা ইসলামি ৯টি বইয়ের কালেকশন (হার্ডকভার)

আরজ আলী সমীপে, প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ, সংবিৎ, অ্যান্টিডোট, বিশ্বাসের যৌক্তিকতা, কষ্টিপাথর, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, উল্টো নির্ণয়, অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়

3827 Ratings  |  2333 Reviews
TK. 2,212 TK. 1,815 You Save TK. 397 (18%)

বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।

book-icon

বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ

mponey-icon

৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের সুযোগ

Package Details

No. Product Name Category MRP Discount Current Price
01 Aroj Ali Somipe image আরজ আলী সমীপে Islamic Ideal 260.0 Tk. 35.0% 169.0 Tk.
02 Paradoxical Sajid image প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ Islamic Ideal 225.0 Tk. 10.0% 203.0 Tk.
03 Songbit image সংবিৎ Islamic Ideal 284.0 Tk. 25.0% 213.0 Tk.
04 Antidote image অ্যান্টিডোট Islamic Ideal 284.0 Tk. 14.0% 244.0 Tk.
05 Double Standard image ডাবল স্ট্যান্ডার্ড Islamic Ideal 260.0 Tk. 25.0% 195.0 Tk.
06 Obishhashi Kathgoray (Humayun Azader `Amar Obishhash' Gronther Oponodon image অবিশ্বাসী কাঠগড়ায় Others: Articles 417.0 Tk. 15.0% 354.0 Tk.

Total :1,378 Tk.

You can save 397 Tk.

Customers Also Bought

Product Specification & Summary

‘আরজ আলী সমীপে’ বইয়ের সূচিপত্রঃ* ভূমিকার বিশ্লেষণ- ১৫
* আত্নাবিষয়ক- ৩৩
* ঈশ্বর সংক্রান্ত- ৪২
* পরকাল বিষয়ক- ৭৪
* ধর্ম সংক্রান্ত- ৮৫
* প্রকৃতি বিষয়ক- ১০৩
* বিবিধ- ১১৭
* শেষ কথা- ১৪৭
* লেখক পরিচিতি- ১৪৯

ভূমিকার বিশ্লেষণ আরজ আলী মাতুব্বর উনার লেখা সত্যের সন্ধান বইয়ের শুরুর দিকে বলেছেন,
“জগতে এমন অনেক বিষয় আছে, যেসব বিষয়ে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম এক কথা বলে না।” প্রথমত, জগতের কোন কোন বিষয়ে দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম এক কথা বলে না তা আরজ আলী সাহেব উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয়ত, জগতের কিছু কিছু বিষয়ে যে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্ম এক কথা বলে না তা আসলে সত্য। সত্য এ কারণে যে, জগতের সকল বিষয়ে সমানভাবে দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে কথা বলতে হয় না। আরজ আলী সাহেব যে ভুলটা শুরুতেই করে বসেছেন তা হলো, তিনি দর্শন, বিজ্ঞান আর ধর্মকে এক করে ফেলেছেন। অথচ, এ কথা স্বীকার্য যে, এই তিনটি বিষয়ের আলোচ্য বস্তু ভিন্ন ভিন্ন।
পদার্থ কী কী দিয়ে গঠিত তা বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ধর্মে পদার্থের গঠনের সরাসরি কোনো পাঠ নেই। আবার, ব্যভিচার করলে কেন শাস্তি পাওয়া উচিত সে পাঠ ধর্মের, কোনো কোনো দর্শনে কিছু বলা থাকলেও, বিজ্ঞানে তার উত্তর নেই…..

'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা কথা বিশ্বাসের কথা কতটা শক্ত করে বলা যায়? বিশ্বাসী প্রানের সুর কতটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ? অবিশ্বাসীকে কতটা মায়াভিরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেয়া যায়? যুক্তিই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিতে মুক্তি? এসবের উত্তর মিলতে পারে।

'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' বইয়ের সূচিপত্র
* একজন অবিশ্বাসীর বিশ্বাস / ১১
* ‘তাকাদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছা’- ভ্ৰষ্টা কি এখানে বিতর্কিত? / ১৭
* স্ৰষ্টা খারাপ কাজের দায় নেন না কেন? / ২৬
* শূন্যস্থান থেকে স্রষ্টার দূরত্ব / ৩২
* তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দেন। সত্যিই কি তাই? / ৪০
* মুশরিকদের যেখানেই পাও, হত্যা করো / ৪৭
* স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো? / ৫৩
* একটি সাম্প্রদায়িক আয়াত এবং... / ৬১
* কোরআন কি সূর্যকে পানির নিচে ডুবে যাওয়ার কথা বলে? / ৬৬
* মুসলমানদের কোরবানি ঈদ এবং একজন মাতব্বরের অযাচিত মাতব্বরি / ৭৩
* কোরআন কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর বানানো গ্ৰন্থ? / ৮২
* রিলেটিভিটির গল্প / ৯১
* A Letter to David-Jessus wasn't myth and he exited... / ৯৯
* কোরআন, আকাশ, ছাদ এবং একজন ব্যক্তির মিথ্যাচার / ১০৯
* আয়েশা (রাঃ) ও মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিয়ে এবং কথিত নাপ্তিকদের কানাঘুষা / ১১৫
* কোরআন কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিজের কথা? / ১২৪
* স্ৰষ্টা যদি দয়ালুই হবেন তাহলে জাহান্নাম কেন? / ১৩০
* কোরআন মতে পৃথিবী কি সমতল না গোলাকার? / ১৩৬
* একটি ডিএনএ'র জবানবন্দী / ১৪৫
* কোরআনে বিজ্ঞান- কাকতালীয় না বাস্তবতা? / ১৫৫
* স্রষ্টা কি এমন কিছু বানাতে পারবে, যেটা স্রষ্টা নিজেই তুলতে পারবে না? / ১৬২
* ভেল্কিভাজির সাতকাহন / ১৭০

'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ' বইয়ের প্ৰকাশকের কথা
সভ্যতার শুরু থেকেই সত্য ও মিথ্যার ধারাবাহিক লড়াই। মানবতার সমাধান ইসলাম বরাবরই জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকদের অপপ্রচার ও বিদ্বেষ মোকাবেলা করে আসছে। আধুনিক সভ্যতার এই সময়ে দাঁড়িয়েও সেই ধারা অব্যাহত আছে। স্যোসাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান পরিসরকে সন্দেহের বীজ বোপন করছে। সন্দেহ থেকে সংশয়, সংশয় থেকে অবিশ্বাস। এভাবে এক অবিশ্বাসী প্রজন্মের গোঁড়াপত্তন হচ্ছে কিবোর্ডে। বিশ্বাসীদের সুশৃংখল চিন্তার দুনিয়ায়। কিছু কিছু তরুন-যুবা দিকভ্রান্তও হচ্ছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছে মুসলিম মিল্লাতে। অবিশ্বাসীদের আপাত চমকপ্ৰদ প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় হিমশিম অবস্থা। জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ যেখানে, সেখানেই বিশ্বাসী প্ৰাণের যৌক্তিক লড়াই। এমনই এক বিশ্বাসী তরুন আরিফ আজাদ। অনলাইন দুনিয়ায় অবিশ্বাসীদের উখিত প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়ে অজস্র মানুষের প্রিয়ভাজন হয়েছেন। একজন তরুন এত চমৎকার ও যৌক্তিক ভাষায় ইসলামবিরোধীদের জবাব দিতে পারেন, ভাবতেই আশাবাদী মন জানান দেয়— আগামীর দিন শুধু সম্ভাবনার। “প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটিতে গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বাস্তব দুনিয়ায়ও থাকা উচিত। নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামদ্রোহীদের অপপ্রচারের জবাবে অনেকেই লিখছেন, বলছেন। এই বইটি সেসব জবাবের ভিত্তিকে আরো মজবুত করবে। আমার বিশ্বাস বইটি তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে এক তুমুল আলোড়ন তুলবে। আশা করি। বইটি পড়ে অবিশ্বাসীরাও নিমেহিভাবে ইসলাম নিয়ে চিন্তা করবেন। গাডিয়ান পাবলিকেশন্স এই অসাধারন বইটি প্রকাশ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। স্যোসাল মিডিয়ায় লেখাগুলোকে পাণ্ডুলিপি আকারে পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জের। বইটিকে যথাসম্ভব সুন্দর ও নিখুত করতে আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কোন ত্রুটি ছিল না। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমাদের যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে ত্রুটি-বিচূতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে বিশ্বাস করছি। লেখকের স্বকীয়তা এবং ভাষার বৈচিত্র বিবেচনায় প্রয়োজনে ইংরেজী শব্দও উল্লেখ করা হয়েছে।

"সংবিৎ" একটি ভঙ্গুর প্রাচীরে ধাক্কা দিন। প্রাচীরটি নিমিষেই গুঁড়িয়ে যাবে। এবার সীসঢালা একটি প্রাচীরে ধাক্কা দিন। আপনার শত চেষ্টাও প্রাচীরটিকে টলাতে পারবে না। বিন্দুপরিমাণও হেলাতে পারবে না। প্রাচীরটি যেমন ছিলো, তেমনি রয়ে যাবে।
ইসলাম হলো সীসঢালা প্রাচীর। কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝা তাকে টলাতে পারে না। কোনো জালিম—তাকে কম্পিত করতে পারে না। কোনো অশুভ শক্তি—তাকে জয় করতে পারে না। কোনো অবিশ্বাসী—তার অগ্রাভিজান বন্ধ করতে পারে না। ইসলাম হলো সত্য দ্বীন। যা বিজিত হয় না, বিজয়ী হয়। যা নিয়ন্ত্রিত হয় না, নিয়ন্ত্রণ করে। যা পরিবর্তিত হয় না, পরিবর্তন করে। ইসলাম সত্যের আলো, যা মিথ্যের অন্ধকারকে দূরীভূত করে। সে সত্যের আলোর শিক্ষা থেকেই সাজানো এই বই—“সংবিৎ”। অবিশ্বাসের যে অন্ধকার ধেয়ে আসছে, তাকে দূর করার ক্ষুদ্র সাধনা থেকেই লেখা এই বই—“সংবিৎ”। সংশয়য়ের যে ঠুনকো দেয়াল তৈরি হচ্ছে, তাকে ধসিয়ে দেয়ার সামান্য প্রচেষ্টা থেকেই লেখা এই বই—“সংবিৎ”। শত্রুরা যে ইন্দ্রজাল পেতেছে, তা ছিন্নভিন্ন করে দেয়ার অদম্য ইচ্ছে থেকেই লেখা এই বই—“সংবিৎ”।
এই আমানত এবার আপনাদের হাতে। মুসলিম কিংবা অমুসলিম, সংশয়বাদী কিংবা নাস্তিক, মানবতাবাদী কিংবা সাম্যবাদী, সমাজতন্ত্রী কিংবা পুঁজিবাদী—সবার কাছে পৌঁছে দিন। পৌঁছে দিন তাদের হাতে, যারা সত্যকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। পৌঁছে দিন তাদের কাছে, যারা সংশয়গুলোর উত্তর খুঁজছে। পৌঁছে দিন তাদের কাছে, যারা না বুঝেই সত্যের বিরোধিতা করছে। ইনশাআল্লাহ সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেয়ে যাবেন।

'অ্যান্টিডোট' বইয়ের ফ্লাপের লেখা: একটি সময় ছিলাে যখন মুসলিমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করতাে। সেটি এখন ইতিহাস। বুদ্ধিবৃত্তিক পরাধীনতার শৃঙ্খল যেন স্বেচ্ছায় হাতে পরে নিয়েছি আমরা। এরই সাথে যােগ হয়েছে ধর্মীয় অজ্ঞতা। আমাদের এই দুর্বলতার সুযােগ লুফে নিয়েছে সেকুলার, ইসলামবিদ্বেষী, মিথ্যা জ্ঞানের মােড়কে নিজেদের সাজানাে কিছু কূপমণ্ডুক। নিজেদের জ্ঞানহীন মস্তিষ্ককে মিশনারিদের কাছে বন্ধক রেখে তারা কুরআন এবং হাদিস অধ্যয়ন করে। তারপর আমাদের কিছু অবুঝ যুবকদের সামনে এর কল্পিত ত্রুটি উপস্থাপন করে শৈল্পিক পন্থায় রঙ-বেরঙের উপস্থাপন দেখে তারাও ভড়কে যায় । কারণ নিজেদেরও তাে একই অবস্থা। অবশেষে তারাও পাড়ি জমায় ‘আসহাবুশ শিমালে’র দলে । তাদের বিষাক্ত দংশনের ফলে শেষমেষ আর বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না আমার বা আপনার আদরের ভাই কিংবা বােনের। তাদের বিষাক্ত দংশনের ফলে আমাদের বিশ্বাসে সৃষ্ট বিষক্রিয়া প্রতিরােধ করতেই প্রতিষেধক হিসেবে এই গ্রন্থ ‘অ্যান্টিডেটি।

'অ্যান্টিডোট' বইয়ের বিষয়সূচি

সম্পাদকের মন্তব্য..........১০
সম্পাদকের কথা..........১১
শারঈ-সম্পাদকের-চোখে..........১২
আত্মকথন..........১৪
সত্যিই কি আমরা বিবর্তিত?..........১৮
কুরআন কি পুরুষের বীর্যের উৎপত্তির ব্যাপারে ভুল তথ্য দেয়?..........৩২
কুরআন কি মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব ও ভ্রূণবিদ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়?..........৪৩
কুরআনের জ্বণবিদ্যা কি গ্রিকদের থেকে নকলকৃত? ................. ৬৬
রাসূলুল্লাহ গুছি কি ভ্রূণের লিঙ্গ পার্থক্যকরণের সময় সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন?..........৮০
আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকর্তা হয়েও কেন অবিশ্বাসীদের চিরকাল শাস্তি দিবেন?..........৯৩
মহামারির ইসলামী সমাধান কি অমানবিক?..........১০২
দেখা-শােনা-জানার ক্রম: একজন অজ্ঞেয়বাদীর অজ্ঞতা..........১১৫
মৃত্যু ব্যতীত সকল রােগের প্রতিষেধক..........১২৯
উট রহস্যের ভেদ ও একটি যৌক্তিক শাস্তি..........১৪৩
রােগ কি সংক্রমিত নয়?..........১৫৩
মানবতার লঙ্ঘন নাকি অজ্ঞতার আস্ফালন?..........১৬০

"বিশ্বাসের যৌক্তিকতা" আল্‌হামদুলিল্লাহ। রাফান আহমেদ ভাইয়ের বিশ্বাসের যৌক্তিকতা (Reasons To Believe) বইটি পড়ার সুযোগ হয়েছে। আমি আদতে কুর্‌আনের ভাষায় ‘শুনলাম এবং মেনে নিলাম’ দলের সদস্য হবার চেষ্টায় থাকলেও, ব্যক্তিগতভাবে যুক্তি-তর্ক আমার খুব পছন্দের। স্রষ্টা আসলে বিজ্ঞানের আলোচ্য টপিকের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমরা যদি বিজ্ঞানকে স্রষ্টার সৃষ্টির একটা অংশ ধরে নিই, তাহলে বিজ্ঞানের কোন কিছুই স্রষ্টার বিপরীতে যেতে পারে না। স্রষ্টা বিজ্ঞানের বিষয় না হলেও, বিজ্ঞানের sign এর মাঝে স্রষ্টাকে তখন অনায়াসে খুঁজে পাওয়া যাবে।
বস্তুবাদী দুনিয়ার খপ্পরে পড়ে বর্তমান বিজ্ঞান বড্ড একপেশে হয়ে গেছে। স্রষ্টার সাথে বস্তুবাদী দুনিয়া যেন এক মহা সংগ্রামে লিপ্ত। কিন্তু, বস্তুবাদী দুনিয়া যতোই রঙচঙে ভাবমূর্তি নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়াক না কেনো, সত্যের সামনে সে বারবার পযর্দুস্ত হতে বাধ্য।
বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই, এটা স্রেফ তথ্য প্রমাণ নির্ভর - এ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। কিন্তু ধর্মের মূল ভিত্তিই হলো বিশ্বাস। তাছাড়া বিজ্ঞান আজ এটা বলছে তো কাল ওটা। বিজ্ঞানকে আমরা চির-নির্মাণাধীন (endlessly becoming) প্রক্রিয়া বলতে পারি। এখানে কোন কোন থিওরি দুইশো বছর টিকে, আবার কোন কোন থিওরি দুই সেকেন্ডও টিকে না। এই হলো বিজ্ঞানের অবস্থা।
বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সংঘাত নেই, সহাবস্থান আছে। কিন্তু বস্তুবাদী দুনিয়া আমাদের চোখে একটি রঙিন চশমা পরিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, ধর্ম এবং বিজ্ঞান পরস্পর সাংঘর্ষিক। রাফান আহমেদের ছোট অথচ ব্যাপক তথ্যবহুল এই বইটিতে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, ধর্মবিশ্বাস মানুষের একটি সহজাত বিষয়। এটি সে জন্মগতভাবে পেয়ে থাকে। এটি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

তাছাড়া, বস্তুবাদী জগতের অনেক বিজ্ঞানী, দার্শনিকের মন্তব্য, গবেষণালব্ধ তথ্য টেনে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, - ‘বিজ্ঞান কখনোই শেষ কথা নয়’...
বইটিতে তথ্যের ব্যাপক সমাহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। রাফান আহমেদের উপস্থাপনা শৈলিও চমৎকার। প্রতিটি অধ্যায়ই ভাবনার উদ্রেক করে। বইটি প্রতিটি পাঠককে উপকৃত করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আল্লাহ্‌ উনার এই কাজকে কবুল করুন, আ-মী-ন।

‘কষ্টিপাথর’ বইটির ভূমিকাঃ - আপনারা কি নাস্তিক গুরুদের মতবাদ থেকে বেরিয়ে মুক্তভাবে চিন্তা করতে প্রস্তুত আছেন?
- যে বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি ধরেছেন, সেই বিজ্ঞান যদি ১৪০০ বছর আগের কোনো জীবনধারা, কোনো মতবাদকে সত্যয়ন করে তা কি মেনে নিতে তৈরি আছেন?
- নাকি আপনারা কিছুই মানেন না? শুধু যেটুকু খায়েশের সাথে মেলে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সেটুকুই নেবেন? যতক্ষণ মনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ মুক্তচিন্তা করবেন? যতক্ষণ বিজ্ঞান আপাতভাবে ইসলামের বিপক্ষে বলছে ততক্ষণ বিজ্ঞানের সাথে আছেন, আর পক্ষে কিছু প্রমাণ হয়ে গেলেই বিজ্ঞানকেও চেনেন না। তাই কি?
এই পুরো বইয়ে আমার নিজের কথা খুবই কম। রেফারেন্স, জার্নাল ও গবেষকের যোগ্যতাসহ দিয়েছি। কেউ খণ্ডন করতে চাইলে
• রেফারেন্স খণ্ডন করতে চাইলে, কোন গবেষণাকে ভুয়া প্রমাণ করতে চাইলে ঐ গবেষক টিমের ন্যূনতম যোগ্যতাসম্পন্ন গবেষকের সমস্তরের যোগ্যতা লাগবে। • কিছু জায়গায় রেফারেন্সের ভিত্তিতে আমার অর্জিত চিকিৎসাবিদ্যার আলোকে আমার ব্যক্তিগত উপলদ্ধি-অনুধাবনের উল্লেখ আছে, সেখানে বলেও দেয়া আছে যে, এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি-অনুধাবন। সেগুলো আবার একজন এসোসিয়েট প্রফেসর সম্পাদনাও করেছেন। যেহেতু পুরো বইটাই স্বাস্থ্যবিষয়ক, তাই সেগুলো খণ্ডনকারী কমপক্ষে এমবিবিএস ডিগ্রীধারী না হলে একটু কেমন যেন হয়ে যায়।
যাহোক, বিজ্ঞানীরা আজ যা আবিষ্কার করছে তা ১৪০০ বছর আগে একজন প্র্যাকটিস করে গেছেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীরা ১৪০০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছেন— ব্যাপারটা মেনে নেয়া একটু কষ্টের আপনাদের জন্য। আলোচনা আজ এটা নিয়েই, যে বিজ্ঞানকে আপনারা মেনে চলেন তা কত পশ্চাৎপদ আর যে সুন্নাত আমরা মানি তা কতটা আধুনিক, যুগোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ। আজ ঘষবো বিজ্ঞানকে, সুন্নাত হলো সেই ‘কষ্টিপাথর ।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
শামসুল আরেফীন
৩১ জানুয়ারী ২০১৮, ঢাকা
https://www.fb.com/shamsul.shakti
সূচিপত্রঃ
কেন লিখলাম ১৭
কেন পড়বেন ২১
১. দূর্গের বাইরে পরিখা ২৫
২. ডিওডোরেন্ট
৩. সিন্ধুঘোটকনামা
৪. লেফট-রাইট
৫. বামপন্থা
৬. And Miles to Go Before I Sleep ৪১
৭. স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন দেখান ৪৫
৮. বপু-তনু ৪৬
৯. প্যাকেট ৪৮
১০. দুনিয়া ঠাণ্ডা ৫৭
১১. বাড়িয়ে দিন কাপড়ের দাম ৫৮
১২. হেডকোয়ার্টারের জলছাদ ৬২
১৩. প্রাগৈতিহাসিক ৬৭
১৪. গবাদিকরণ ৭৩
১৫. সমতলাধিকার ৭৬
১৬. আনন্দ ভাগ করলে বাড়ে ৭৮
১৭. আজ চুলা বন্ধ ৭৯
১৮. কুছ মিঠা হো জায়ে ৮১
১৯. মাছিমারা কেরানি ৮৫
২০. ভোগে নয়, ত্যাগেই। তবে... ৮৭
২১. আবারও বাম ৯১
২২. মুতাতহহিরীন ৯২
২৩. যাহ! সব মাটি ৯৬
২৪. হাত ধোয়ার জন্যও দিবস? ১০১
২৫. জীবনের অপর নাম পানি সুন্নাত: প্রিভেনটিভ মেডিসিন
২৬. কই মোটা, একটু স্বাস্থ্য ভাল
২৭. মাতাল ধোঁয়া ১১৫
২৮. বিনাশ্রম দণ্ড ১২৭
২৯. আঁশেই আশা ১২৯
৩০. রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ১৩১
রোগীর জন্য ১৩৪
ডাক্তার সাহেব ও রোগীর সেবাদানকারীদের জন্য ১৩৫
কাকতালীয় ১৩৭
প্রলাপ ১৪২
ক. জায়েয, না সুন্নাত?
খ. বড় সুন্নাত রেখে ছোট সুন্নাত?
গ. আল্লাহর প্রতি এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন?
ঘ. শুধু ছোট সুন্নাত, তাহলে বড়গুলো?
ঙ. বিজ্ঞান ও সুন্নাতের পার্থক্য – সম্পর্ক
চ. সুন্নাতের গুরুত্ব সম্পর্কে
বিদায়বেলা ১৬৫

ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড এর ভূমিকা: সব রকমের প্রশংসা আল্লাহরই যিনি একাই সবকিছু করেছেন, করবেন। অগণিত দরুদ ও সালাম চির-আধুনিক মহামানবের জন্য যাঁকে না। মুসলমানরা চিনলাম, আর না। অমুসলিমদের চেনাতে পারলাম। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর কয়েকজনকে দুআ না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমার সহাদের শুভ্র সালেহ এই বইটার স্বপ্নদ্রষ্টা, বলেছিল ডায়েরির টুকে রাখা চিন্তাগুলোকে মলাটে বাঁধতে; অভিভাবকপ্রতিম আব্দুল্লাহ আল-বাকী ভাইয়ের কাছে পেয়েছি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা; আমার স্ত্রীর উৎসাহ ও দুআ তো ছিলই। ছােটবোনটাও ছিল গল্পের পাঠিকা,যদিও কিছু বুঝতো কিনা আমার সন্দেহ আছে। আরও ধন্যবাদ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আযহারী সাহেবকে যিনি এই ছাইপাশকে প্রকাশের যোগ্য বিবেচনা করেছেন। ধন্যবাদ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মুফতি রাইহান খাইরুল্লাহ ও অনুমোদন করেছেন এই বইকে। ব্যস্ততার মাঝেও যিনি প্রতিটি শব্দ নজরে ছানী করে দিয়েছেন মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদউল্লাহ সাহেব হাফিযাহুল্লাহকে এবং প্রচ্ছদকার আবুল ফাতাহ মুন্না ভাইকে হৃদয় নিংড়ানো দুআ । আল্লাহ। আপনাদের সবাইকে আহসানুল জাযা, সর্বোত্তম বদলা দান করুন। আমিন ।
ইসলামের প্রতিটি বিধানই কল্যাণময়। কখনও কোন বিশেষ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কল্যাণময় । আবার কখনো বিশেষ বিষয়ে, কল্যাণ। আপাতভাবে ধীরগতির (slow dose) হলেও সামষ্টিকভাবে কল্যাণ স্পষ্ট। এজন্য কখনো কখনো মনে হতে পারে যে ইসলামের বিধান এমন কেন? বা এটা ইসলামে অনুমোদিত কেন? গভীর চিন্তা করলে বুঝা যায়, যদিও একপক্ষ বিচারে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ আছে বলে মনে হয়; কিন্তু সামগ্রিকতা বিচারে দেখা যায়। এর চেয়ে সুন্দর ও কল্যাণময় বিধান আর হতেই পারেনা। ডাক্তারি ভাষায় বললে, ওষুধের যেমন সাইড এফেক্ট থাকে, আমাদের তৈরি সমাধানগুলো এমন । একটা সমাধান করতে গেলে আরেকটা সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু ইসলামের বিধান সাইড-এফেক্ট মুক্ত; যদিও কখনো দ্রুত, কখনো ধীর; কিন্তু সামগ্রিক রোগ আরোগ্য হবেই নো ডাউট। কেননা এ বিধান এসেছে এমন একজনের কাছ থেকে যিনি মানবজীবনের ও মানবসমাজের স্রষ্টা, সমস্যারও স্রষ্টা, ফলাফলেরও স্রষ্টা । তাই সমাধান তার চেয়ে ভাল আর কে দেবে?
প্রথমত, বইটা লেখা আমার নিজের হিদায়াতের জন্য। যাতে ইসলামের যে বিধানগুলোতে বিদ্বেষীমহল সন্দেহ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেগুলোতে আমার নিজের বিশ্বাস আরো পাকাপোক্ত হয়। আর ইসলামের বিধানে যুক্তি খুঁজতে যাবার দুঃসাহস দেখাইনি, যেটা খুঁজতে গিয়েছি সেটা হল - কারণ। শায়খুল হাদিস মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলভী মাদানী রহঃ এর একটি কথা আমাকে এ কাজে প্রেরণা দিয়েছেঃ “পবিত্র শরীয়তের প্রত্যেকটি হুকুমের মধ্যে যেমন সীমাহীন খায়ের-বরকত ও সাওয়াবা রহিয়াছে, তেমনিভাবে উহার মধ্যে বহু প্রকার কল্যাণও নিহিত রহিয়াছে। যাহার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার; কারণ আল্লাহ তা'আলার অসীম জ্ঞান ও উহার মধ্যকার কল্যাণ উদঘাটনের সাধ্য কাহার আছে? তথাপি নিজ নিজ যোগ্যতা ও হিম্মত অনুপাতে প্রত্যেকের জ্ঞানের পরিধি হিসাবে উহার কল্যাণও বুঝে আসে। যাহার যত যোগ্যতা বেশি হয় ততই শরীয়তের হুকুমে নিহিত গুণাগুণ ও উপকারিতা বুঝে |- আসিতে থাকে” । (ফাযায়েলে আমাল, পৃষ্ঠা ৭৬)
তার মানে শরীয়তের হুকুমের কল্যাণ বুঝা সম্ভব। অধমের স্বল্পজ্ঞান ও অযোগ্যতা নিয়ে একাজ করার উদ্দেশ্য একটাই— যদি কোন জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি পর্যন্ত আমার এ আহবান পৌঁছে, না জানি তাঁর গবেষণা থেকে কত রহস্য উম্মত জানতে পাবে, না জানি কত দুর্বল মুসলিমের ঈমান বেঁচে যাবে | দ্বিতীয়ত, মনে হয়েছে অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাকস্বাধীনতার নষ্টামীর এই যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন দরকার যা প্রতিটি মুসলিমের সংগ্রহে থাকা চাই। কেননা প্ৰাচ্যবিদদের (বিধমী ইসলামগবেষকদের) পুরনাে প্ৰলাপই নতুন মোড়কে আসছে। সেই জংধরা অস্ত্ৰেই ঘায়েল হচ্ছে আমাদের সন্তানদের অপকু দুর্বল ঈমান। মূলত বইটা আগে আমাদেরই জন্য লেখা, ওদের জন্য পরে। সামান্য এই কাঁটা বিষয় সম্পর্কে প্রতিটি আর শেষদুটাে গল্প তো শুধুই আমাদের জন্য। মাগদূর্ব ও দ্বোয়াল্লিন'এর পথে যারা আমরা হেঁটে “আন’আমতা আলাইহিম’এর পথ ছেড়ে দিয়েছি।
তৃতীয়ত, ওদেরকে আমি দুইভাগে ভাগ করি। তৎসম নামধারী আর আরবি নামধারী। তৎসম নামধারীরা হিন্দুধর্মের বিকৃতি ও অসাড়তা বুঝে নাস্তিকতা অর্জন করেছেন। ইসলামকেও ঐরকমই কিছু একটা ভেবে নিয়েছেন, বা আরবি নামধারী নাস্তিকদের চোখেই ইসলামকে চিনে ঋণাতক ধারণা পোষণ করছেন। এই বই ওনাদের জন্যও । কারণ তাঁরা আসলেই সত্য খুঁজতে যেয়ে নাস্তিক হয়েছেন। তৎসম নামের নাস্তিকরা সত্যের অনেক কাছাকাছি। ওনাদের জন্য আমার বুকভরা দুআ । আর একটু বন্ধু, এই সামনের মোড়ের পরেই তোমার গন্তব্য। চতুর্থত, আরবি নামধারী নাস্তিক। এনাদের নাস্তিকতা অর্জনের কারণ প্রবৃত্তি বা ঝোঁক। এমন একটা দিকে তাদের আকর্ষণ বা ঝোঁক, যা ইসলাম অনুমোদন দেয়না। হয় সে সমকামী, না হয় ব্যভিচারী, না হয় মা-বোনকে নিয়ে যৌন ফ্যান্টাসিতে ভোগে, বা মদ-গাঁজা টানে, নয়তো বহুপুরুষগামিনী- দেখবেন কোন একটা নীতিবিরোধী ও মানবতাবিরোধী কিছুতে সে লিপ্ত যা সে ছাড়তে চায়না। এজন্যই ইসলামকে সে শত্রু। হিসেবে নেয়। কারণ উপায় নেই যে | তখন তার কাজই হয় ইসলামের খুঁত খুঁজে বের করে প্রচার করা। খুঁজতে গিয়ে সে পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্ৰলাপ, টেপ রেকর্ডার। ইসলামের দিকে তাক করা বাঁধা কয়েকটা প্রশ্ন। এর ভিতরেই তার ঘুরপাক, অপলাপ, প্রপাগান্ডা। যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা মুসলিমরা হিমশিম খেয়েছি। এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। এসব প্রশ্ন যে আমাদের মনেও আসেনা তা নয়। কেউ ওদের জালেই ফেসে গিয়েছে। এই বই ওদের জন্যও। তবে যারা কুরআন তারা এই বইয়েও খুঁত বের করবে। এটাই স্বাভাবিক। ওদের জন্য আমার বুকফাটা দুআ । তবে হ্যাঁ, এই বইয়ের খুঁত গ্রহণযোগ্য হবে নিচের শর্তসাপেক্ষেঃ
১। আইন বিষয়ে আইন পড়ুয়ার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞান বিষয়ে বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির কেউ হতে হবে। একইভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের রেফারেন্স কর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যক্তি হতে হবে।
২। দাসপ্রথা- দাসীপ্রথা এসব সমাধান জাতীয় বিষয়ে শুধু সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়। বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। যে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করে। ইসলাম সমাধান দিয়েছে। ঐ সবগুলো উদ্দেশ্য পূরণ করে এমন বিকল্প সমাধান প্ৰস্তাব করতে হবে। উদ্দেশ্যগুলোর কথা গল্পে বলেছি।
৩। জিযিয়া-মানবধর্ম-বনু কুরাইযা-শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ – এ বিষয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে একপাল্লায় জবাব দিতে হবে। সেকুলার সিস্টেমে হলে ঠিক আছে, ইসলাম করলে দোষ— এই বুলি ছেড়ে ম্যাচিউরড জবাব লাগবে |
৪ । কোন তথ্য ভুল প্রমাণ করতে চাইলে সঠিক, যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিতে হবে। এখানে আমি সব যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিয়েছি। এখন আপনি যদি CIA এর সংরক্ষিত ওয়েবসাইটের reference দেন।তাহলে হবেনা। আর এড়িয়ে যাবনা। সময় এসেছে পালটা ধাওয়ার ও দুআরা। নাস্তিকদের জন্য দুআ, আর নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া। আমি কিছু ভাবলাম। ভাবনায় অসম্পপূর্ণতা আছে। মানবীয় ত্রুটি আছে। আপনারাও ভাবুন। নতুন অ্যাঙ্গেল থেকে ভাবুন। শব্দের পর শব্দ গেথে নতুন অস্ত্ৰ বানান। ছড়তে থাকুন। ইতিহাসের ভাগাড়ে ঠাঁই হােক ইসলামবিদ্বেষের।
R এটা প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ— “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পরেরটা আরো ধারালো, আরো জোরালো, হয়ত আরো ভয়াবহ। দুআ চাই।
(দৃশ্যপটের প্রয়ােজনে কখনাে গান,তাস খেলা, ফ্রি মিক্সিং এসেছে। সামনে এধরনের জিনিস আরো আনবো। যাতে যুবসমাজের সময় ও আগ্রহের যে অপচয়, বর্তমান যে অবস্থা- তা স্পষ্ট হয়। আর ইংরেজি শব্দ বারবার এসেছে, কারণ বাংলা অর্থটির চেয়ে এগুলো এখন জেনারেল শিক্ষিত মহলে বেশি ব্যবহৃত হয়। যেখানে বাংলার চেয়ে ইংরেজি শব্দে মনের ভাব প্ৰকাশ বেশি হয় মনে করেছি। সেখানে ইংরেজি শব্দটাই ব্যবহার করেছি। আশাকরি দৃষ্টিকটু লাগবে না।
বান্দা শামসুল আরেফীন
১৬/৬/২০১৭ ঢাকা ।
ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড এর সূচিপত্র :
* না দেখে বিশ্বাস : মানবজন্মের সার্থকতা / ১৯
* দাসপ্রথা ৪ ঐশী বিধানের সৌন্দর্য / ২৭
* দক্ষিণ হস্ত মালিকানা : একটি নারীবাদী বিধান / ৪১
* শস্যক্ষেত্র : সম্পপত্তি, না সম্পদ? / ৬৩
* জিযিয়া : অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তি / ৭১
* শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ : ওদের স্বপ্ন , আমাদের অর্জন / ৭৯
* আরব সংস্কৃতি মানবো কেন? / ১০১
* সমাধান কি মানবধর্মেই? / ১২১
* বনু কুরাইযার মৃত্যুদণ্ড ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি / ১৩৫
* পরিপূর্ণ দাড়ি : জঙ্গল নয়, ছায়াবীথি / ১৬১
* বিজ্ঞানকল্পকাহিনী : “T“ J asp?” (Eternal Oneness) / 171

Similar Category Best Selling Books

Related Products

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

4.38

3827 Ratings and 2333 Reviews

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)
prize book-reading point

Recently Sold Products

Recently Viewed
cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from book shelf?

বিশ্বাসের কথা ইসলামি ৯টি বইয়ের কালেকশন