সাহিত্যিক হবার বাসনা কার মাঝে নেই? জীবনের কোনো একটা সময়ে আমরা সবাই-ই চেয়েছি নিজের লেখা গল্পগুলো একদিন ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হোক, তাই না? ফ্লোরিডার ছোট্ট একটা শহর থেকে আসা ফ্লোরেন্স ড্যারোর স্বপ্নটাও ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। তবে খামতি তো অবশ্যই ছিল ওর মাঝে। নইলে প্রকাশকের সাথে বিছানায় যাওয়া কিংবা ব্ল্যাকমেইল, কিছুই যেন ওর ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে আনলো না। কপর্দকহীন হয়ে রাস্তায় যাবার উপক্রম হতেই বিধাতা এবার ওর দিকে চাইলেন। মড ডিক্সন! সাহিত্য জগতের এক বিস্ময়কর ছদ্মনাম। যশ, খ্যাতি কিংবা পয়সাকড়ি, কিছুরই কমতি নেই তার। কিন্তু কে এই মড ডিক্সন? পুরুষ না মহিলা? তা কেউ জানে না। লোকচক্ষুর আড়ালে কেন সে থাকে, সেটাও এক রহস্য। ভাগ্যের ফেরে মড ডিক্সনের সহকারী হিসেবে কাজ জুটে গেলো ফ্লোরেন্সের। নাহ, স্রষ্টা নিশ্চয়ই তার জন্য আখেরে ভালো কিছুই হয়ত রেখেছেন। মডের সত্যিকারের পরিচয়টাও জেনে গেলো ও। হেলেন উইলকক্স। হেলেনের সাথে তার পরবর্তী উপন্যাসের গবেষণা করতে ফ্লোরেন্স পাড়ি জমালো সুদূর মরোক্কোতে। বিধি বাম! মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় হেলেন উইলকক্স মৃত। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা ফ্লোরেন্স ড্যারো প্রশ্নবাণে জর্জরিত। কে এই মড ডিক্সন? কে হেলেন উইলকক্স? আর ফ্লোরেন্স ড্যারো? তাকে আমরা যে নামে চিনি, এটাই কি আসল? নাকি আড়ালে আছে আরও গভীর কোনো চক্রান্ত? তারচেয়েও বড় কথা, মড ডিক্সন যে মারা গিয়েছে, এটা জানে কেবল ফ্লোরেন্স। খ্যাতিমান লেখিকার ছদ্মনামটা নিজের নামে জড়ালে কেমন হয়, ভাবতে শুরু করলো ও। পাঠক, আমাদের গল্পের শুরু এখান থেকেই!