মোগলনামা প্রথম খণ্ড: মোগল ইতিহাস বলা হলে অনিবার্য ভাবে চলে আসে যুদ্ধ-বিগ্রহ, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র মোগল জৌলুশ এবং ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা অনেক গালগপ্পো। কিন্তু ভারতবর্ষ হতে উত্তরে, শীতপ্রধান এক ছোট রাজ্য ফারগানা থেকে এসে দিল্লীতে যে সাম্রাজ্যের পত্তন করেছিলেন বাবুর; সে বংশের ইতিহাস, সে সময়ের ইতিহাস বলতে গেলে প্রয়োজন বিস্তৃতি এবং কালক্রমিক ঘটনাবলির তুলনামূলক বিবরণ, বিশ্লেষণ। এ বইটিতে, মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবুরের উত্থান থেকে শুরু করে আওরঙ্গজেবের মৃত্যু পর্যন্ত ভারতবর্ষের যোগল শাসনের কালক্রমিক বিবরণ দেওয়া হয়েছে, উপযুক্ত তথ্য এবং বিশ্লেষণের সাথে। কিন্তু পাঠক, এ বইটি প্রচলিত ইতিহাস গ্রন্থের মতো প্রচুর তথ্য উপাত্তে ঠাঁসা কঠিন কোন বই নয়। কখনও গল্পচ্ছলে, কখনও পাঠকের সাথে আলাপচারিতার ঢঙে মোগল ইতিহাসের নানা ঘটনা, নানা উপকথা এবং ঐতিহাসিক সত্য উপস্থাপিত হয়েছে। কেবল মোগল শাসকদের কথা নয়, এ বইতে তৎকালীন ভারতের একটি চিত্র উপস্থাপন করার চেষ্টা রয়েছে। এ বই কেবল ইতিহাস কখন নয়। মোগল সাম্রাজের প্রতিষ্ঠা থেকে ভাঙ্গনের সূচনা পর্যন্ত সময়কে চোখের সামনে তুলে ধরবে এ বই। যেন এক সময়-ভ্রমণ। মোগলনামা দ্বিতীয় খণ্ড : মোগল শাসনের সময়কে পাঠকের সামনে স্পষ্ট করার উদ্দেশে 'মোগলনামার' প্রথম খণ্ডে বাবর থেকে আওরঙ্গজেবের মৃত্যু পর্যন্ত মোগল শাসনামলের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মোগল ভারতের একটি চিত্র তুলে ধরার প্রয়াস করা হয়েছে। সাধারণভাবে মোগল আমল বলতে এই ছয় সম্রাটের শাসনকালই পরিচিত। আওরঙ্গজেব পরবর্তী, অর্থাৎ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দের পরে মোগল ইতিহাস কেবল মোগলদের ইতিহাস থাকেনি। এ সময়ের সঙ্গে মারাঠা, শিখ, বাংলা ও অযোধ্যার নওয়াবী, দাক্ষিণাত্যের নিযাম, ব্রিটিশদের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা এবং সর্বোপরি সিপাহী বিদ্রোহ জড়িত। 'মোগলনামার' দ্বিতীয় খণ্ডে, মোগল শাসনামলের এই দ্বিতীয়ার্ধ সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে।
জন্ম ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে, কীর্তনখোলা নদীর তীরে, বরিশাল শহরে। নদীর অন্য পাড়ে দিনার গ্রামে পিতৃপুরুষের ভিটা। সেখানেই শৈশবের কিছু অংশ কেটেছিল। অতঃপর ছয় বছর বয়সে পিতামাতার হাত ধরে রাজধানীতে আগমন। শিক্ষাজীবন শুরু মায়ের কাছে। এরপর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে, স্কুল জীবনের দশ বছর কাটিয়ে বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ অধ্যয়নরত। লেখালেখির সূচনা ভালোলাগা থেকে। ইচ্ছে ছিল দু’ একটা গল্প লেখার। লিখতে লিখতে একটা উপন্যাসও হয়ত কখনও দাঁড়িয়ে যাবে, এ আশাও ছিল। কিন্তু কেমন করে যেন গল্প থেকে ইতিহাসের পথে চলা শুরু। হয়ত ইতিহাসের ভেতরে অনেক গল্প থাকে বলেই এ যাত্রায় এতো আগ্রহ। ইতিহাস থেকে এখন ছোটগল্প, উপন্যাস, সমালোচনা; লেখালেখি চলছেন। লিখেছেন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে, জাতীয় দৈনিকে। সবকিছু সঙ্গে করে অনেকদিন লিখে যাওয়ার ইচ্ছা।