কেন পড়ব বইটি? পৃথিবীতে এমন একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি জীবনে সফলতা চান না। সফলতা কী? জীবনে কীভাবে সফল হওয়া যায়? সফলতার অর্থ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। কেউ কেউ মনে করেন সাফল্য অর্থ ধনবান হওয়া। কেউ কেউ মনে করেন সাফল্য অর্থ মন্ত্রী, মিনিস্টার, জজ-ব্যারিস্টার হওয়া, বড় চাকরি পাওয়া, সামাজিক স্বীকৃতি, সুস্বাস্থ্য, সুন্দর পরিবার বা সামাজিক প্রতিপত্তির অধিকারী হওয়া। সাফল্য লাভের কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই বা সাফল্যের নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যও নেই। এটি সবসময় একটি গন্তব্যে পৌঁছার পর অন্য গন্তব্যে যাত্রা করে। সুতরাং সাফল্য হলো একটি পথপরিক্রমা। সাফল্যের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো―সাফল্য লাভ কীভাবে সম্ভব? কোন কৌশলে জীবনে সহজে সফল হওয়া যায়? এসব কঠিন প্রশ্নের যথার্থ উত্তর পাওয়ার জন্য কিছু চুম্বকীয় বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে এ বইটিতে। ‘জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র’ বইটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বেকার, হতাশাগ্রস্ত, আর্থিক অভাবগ্রস্ত, পেশাজীবনে ব্যর্থ মানুষের সফলতার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শিশু-কিশোর, ছাত্র, যুবক, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক অংশীজন নারীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ কীভাবে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সহজে সাফল্য পেতে পারে- তারই কিছু ম্যাগনেটিক টেকনিক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। ‘জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র’ বইটিতে কী কী কাজ কীভাবে, কখন, কোন কোন পদ্ধতিতে করলে এবং কাকে রোল মডেল মেনে এগোলে সাফল্য অর্জিত হবে- তার একটি সঠিক গাইডলাইন পাওয়া যাবে। এ সময়ের অন্যতম মূল্যবান এই গ্রন্থ সফলতা প্রত্যাশী সকল পাঠকের সংগ্রহে রাখার মতো।
একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন মানুষ প্রিন্সিপাল মো. বায়েজীদ বোস্তামী। তিনি ১৯৯৮ সাল হতে কলেজে অধ্যাপনা এবং ২০০৪ সাল থেকে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত আছেন। কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন সময় মূল্যবান সনদ এবং সম্মাননা অর্জন করেন। আশৈশব তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। কৈশোরে তিনি ফুটন্ত কলি তরুণ সংসদ নামে একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সংস্কৃতিমনা এই ব্যক্তিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে শব্দ সৈনিক, লাল সূর্য, একটি ফুলকে বাঁচাব বলে, ঝড়ের পরে, গরীবের মেয়ে, তোমার আমার প্রেম-সহ অনেক নাটক পরিচালনা ও মঞ্চস্থ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় ম্যাগাজিনে সাংবাদিকতার মাধ্যমে তার লেখালেখির সূত্রপাত। তিনি বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকায়, দেশি-বিদেশি জার্নালে, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে নিয়মিত প্রবন্ধ, ফিচার, আর্টিক্যাল লিখছেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। প্রিন্সিপাল মো. বায়েজীদ বোস্তামী ১ মার্চ ১৯৭২ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দ. পিরিজপুর, মুন্সীকান্দা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুন্সী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো. ধানু মিয়া। মাতা মোমেনা বেগম। পিতা-মাতার দুই সন্তানের মধ্যে তিনি একমাত্র ছেলে। প্রিন্সিপাল মো. বায়েজীদ বোস্তামীর স্ত্রী নুরুর ছাপা বেগম কাজল কক্সবাজারের মেয়ে। পেশায় তিনি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। দুই সন্তান―তালহা সিনদীদ জিয়ান ও ইরতিজা বায়েজীদ জোহানা। ১৯৮৭ সালে কিশোরগঞ্জের শতবর্ষী স্বনামধন্য সরারচর শিবনাথ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৯ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স (১৯৯৩) ও মাস্টার্স (১৯৯৪)-এ মেধাস্থান অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি বিএনসিসির সার্জেন্ট ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে আলহাজ্ব নুর মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে পেশা জীবন শুরু করেন। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি (বর্তমান তিতাস) উপজেলায় গাজীপুর খান মডেল কলেজের প্রভাষক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি চৌদ্দগ্রামের বিজয়করা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। প্রিন্সিপাল মো. বায়েজীদ বোস্তামী ২০১৯ সালে সস্ত্রীক হজব্রত পালন করেন। দীর্ঘ ২৩ বৎসর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকতা, প্রশাসনিক পদের অভিজ্ঞতা এবং ছাত্রজীবনের বিভিন্ন গুণী শিক্ষকের সাহচর্য থেকে অর্জিত তীব্র পর্যবেক্ষণ শক্তি ও প্রজ্ঞা দিয়ে বহু পোড় খাওয়া জীবনসংগ্রামী লেখক ‘জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র’ মোটিভেশনাল বইটি লিখেছেন।