"সাহিত্যে নোবেল জয়ীদের শ্রেষ্ঠ গল্প" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: বিশ্বসাহিত্যের বিশালায়তনের ক্যানভাসে কলম ধরেছেন প্রত্যয়ী সাহিত্যিকেরা। সাহিত্যের নােবেল জয় আসে তাদেরই সােনাঝরা কলমে। তারা এই জগত-সৃজনশীলের অতিমানব না হলেও অতিকায় ডানার সৃষ্টিশীল মানব। বিশ্বাস করতে হয় : তারা তাদের অতিকায় ডানার বিস্তারে সাহিত্যের দশ দিগন্তকে আপন করে নিয়েছেন নােবেল জয়ের মাধ্যমে। কী কাব্যে, কী গদ্যে-গল্প কিংবা উপন্যাসে; কী সংলাপ-নাট্যে-মােটকথা, সাহিত্যের সার্বিক সুষমা-সুন্দরকে পৃথিবীর তাবৎ জনমানবগােষ্ঠীর কাছে সমভাবে গ্রহণযােগ্য করে তুলেছেন তারা। তাই তাে আমরা বাংলা ভাষাভাষীরাও অন্যসব ভাষাভাষী নাগরিকদের মতাে নােবেল সাহিত্যের স্বাদ পেতে চাই। সাহিত্যে নােবেল পাওয়া কালজয়ী এগারাে জন লেখকের বারােটি গল্পে সাজানাে হয়েছে ‘সাহিত্যে নােবেলজয়ীদের শ্রেষ্ঠ গল্প’ বইটি। গল্পগুলাে শুধু শ্রেষ্ঠ-ই নয়, গল্পগুলাে মহৎও বটে। গল্পের বিষয়-আসয় সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্য। গল্পের সব কোণ আলােচিত, সব ভাজ সতেজ আর সবল। আর সেসব কোণে এবং ভাজে ভঁজে নিপুণ পারঙ্গমতায় ঢেলে দেয়া হয়েছে। গল্পপাঠ তৃষ্ণার আনুসঙ্গিক উপাদান, যাতে দৃশ্যমান হয়েছে দিবাকরের অত্যুজ্বল ঝলকানি। গল্পগুলােতে আছে ব্যাঙ্গ-কৌতুক, প্রেম-বিচ্ছেদ, ধর্ম-দর্শনের অতি সরল কিংবা ভণিতাবিহীন ভাষার কারুকাজ। ‘সাহিত্যে নােবেলজয়ীদের শ্রেষ্ঠগল্প’ বইটি পাঠ করে আপনিও বিশ্বসাহিত্যের বিশাল ক্যানভাসের পাঠশিল্পী হয়ে উঠবেন।
সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’র যুগ থেকেই লেখালেখি। লেখালেখি শুধু ছোটদের নিয়ে। ছড়া দিয়ে শুরু করলেও কথাসাহিত্যিক শহীদ আখন্দের প্রেরণায় গল্পের জগতে প্রবেশ। ইদানীং রূপকথার মৎস্যকন্যাদের নিয়ে মেতে আছেন। অনুবাদ করেছেন বিশ্বখ্যাত রূপকথাবিদ অস্কার ওয়াইল্ড-এর The Fisherman and His Soul। লিখেছেন ‘মাছমেয়েদের সমুদ্রযাত্রা’, ‘মেরী ও মৎস্যকন্যারা’, ‘কাজল বিলের গল্প’, ‘বাংলার মেলা বাংলার উৎসব’, ‘নদী ভালোবাসি’, ‘পাতার গোসল হবে’, ‘পাহাড় কেন চুপ’ ইত্যাদিসহ গোটা দশেক কিশোর কবিতা, ছড়া, গল্প ও উপন্যাস। প্রকাশ পেয়েছে : মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগল্প ‘যতদূর মনে পড়ে’, ভূতের গল্প ‘শিকলদীঘির ভূত’, হাসির গল্প ‘ক্যাটস অ্যান্ড ডগস’ এবং ঐতিহাসিক গল্প ‘আমি এক বীরের পুত্র’। সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন বাংলা সাহিত্য ও বিশ্বসাহিত্যের চিরায়ত ধারার শিশুতোষ গল্পমালার তিনটি খণ্ড। বর্তমানে তিনি শেকস্পিয়রের নাটকগুলোকে ভাব অনুবাদের মাধ্যমে গল্পে রূপ দিচ্ছেন। জন্ম ১ জুন ১৯৬৯ সালে ঢাকার শান্তিবাগে। মা লাইলী বেগম ও বাবা শেখ আমিনুল হকের আদিনিবাস গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন রাজপাট গ্রামে। শৈশব-কৈশোর কেটেছে ঢাকার অলিগলিতে। বাবার কর্মস্থল বদলিসূত্রে তারুণ্য-যৌবন কাটে কুমার নদের শহর ফরিদপুরে। লেখাপড়া : ওই শহরেরই রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতক, বাকিটা ঢাকা কলেজে। সেই থেকে জীবন-জীবিকা এবং আবাসন এখন এই ধুলোবালির শহরেই। যুক্ত আছেন একটি প্রকাশনা সংস্থার পুস্তক সম্পাদনার কাজে।