"মি বিফোর ইউ" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: অতি সাধারণ মেয়ে লুইসা ক্লার্ক, অতি সাধারণ তার জীবনযাত্রা। কাঠখোট্টা প্রেমিক আর আপন পরিবার—এসবই তার ধ্যানজ্ঞান। নিজের ছোট্ট গ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে কখনোই দূরে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ইচ্ছা কিংবা প্রয়োজন, কোনোটাই হয়তো ছিল না। জীবন থেমে থাকে না, বার্তা ছাড়াই হঠাৎ প্রয়োজন নিয়ে উপস্থিত হয়। তেমনি এক হঠাৎ প্রয়োজন লুইসাকে বাধ্য করে, উইল ট্রেইনর নামের একজনের দেখাশোনা করতে। উইল, এক কথায় বললে—যার জীবন বিশাল, বিস্তৃত, নান্দনিক, রোমাঞ্চকর। ব্যবসায়িক ব্যস্ততা, বিশ্বভ্রমণসহ সবটা মিলে তার জীবন লুইসার ঠিক বিপরীত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত একটা সড়ক দুর্ঘটনায় তার চলৎশক্তি রহিত হয় চিরতরে। হুইলচেয়ার হয়ে ওঠে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। আর উইলও ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, আগের মতোন করে জীবন উপভোগ করা আর তার পক্ষে সম্ভব হবে না। একরোখা, জেদি ও খিটখিটে মেজাজের উইলের সাথে আলাভোলা, সদা লাস্যময়ী ও নরম স্বভাবের লুইসার প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়। একসময় সে বুঝতে পারে উইলের সুখ-দুঃখগুলো তার কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করতে শুরু করেছে। ঠিক এসময় সে জানতে পারে উইলের ভয়াবহ এক ইচ্ছার কথা। যেটা তার ভেতরটা নাড়িয়ে দেয় একদম। সিদ্ধান্ত নেয়, উইলকে সে অনুভব করাবে—জীবন একটি উপহার। এটি এ প্রজন্মের একটি অন্যতম সেরা ভালোবাসার উপাখ্যান। যেখানের কেন্দ্রীয় দু চরিত্রের মধ্যে মিল নেই একদমই। একদম আলাদা দুটো ব্যক্তিত্ব। অথচ একটা পবিত্র জাল ভালোবাসার নামে তাদের ঘরের চৌকাঠ পেরোয়, শত অমিলকে পাশ কাটিয়ে তাদের এক করে। এটি এমন একটি আখ্যান, যেটা স্পর্শ করবে আপনার ভেতরটা। একদম গভীরে একটা ক্ষতচিহ্নের সৃষ্টি করবে, তারপর প্রলেপ দিয়ে একটা প্রশ্ন রাখবে, যদি নিজের মন ভেঙে প্রিয় মানুষটাকে খুশি করতে হয়, তখন আপনি কী করবেন?