হাঙকি আর পাঙকি, দুই ভাই। হাঙকি বড় হয়ে বানরের মতো বানর হতে চায়। পাঙকি হতে চায় মানুষ। হাঙকি পড়াশুনায় মেধাবী। পাঙকির পড়াশুনায় মন নেই। ওকে নিয়ে সবাই আড়ালে মন্তব্য করে- হতচ্ছাড়া মানুষ হবে। কে বলবে পাঙকির জন্ম বানরের ঘরে। বানর হয়ে মানুষ হওয়ার ইচ্ছা। এদিকে হাঙকিকে নিয়ে সুনামের শেষ নেই। ও একদিন বানর সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে। ইশকুলের বড় স্যারের দৃষ্টি বড় ভাই হাঙকির দিকে। তিনি বিশ্বাস করেন, হাঙকি স্কলারশিপ নিয়ে বাইরের বনে যাবে। লাউয়াছড়া বনের জ্ঞানী উল্লুক আংকেলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকেই পাঙকির জীবনটা পাল্টে যাচ্ছে। আংকেল পাঙকির পুরনো ফেসবুক ফ্রেন্ড। মাঝেমধ্যে ইনবক্সে কথা হয়, দরকারি আলাপ ছাড়া বেশি সময় চ্যাট করতেও পছন্দ করেন না তিনি। পাঙকি বড়ভাই হাঙকিকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে- পৃথিবীটা অনেক বড়। এখানে দুষ্টুমি ছাড়াও শেখার আরো বিষয় আছে। কিন্তু হাঙকি এসব কথা শুনে পাঙকির লেজ টেনে উত্যক্ত করে। টিজিং আর্টসে হাঙকি বরাবরই ফুল মার্কস পায়। ক্লাসে হাঙকির টিজিং পারফরমেন্স দেখে কোনো কোনো শিক্ষকও নাকানি-চুবানি খান। হাঙকি আর পাঙকিকে জানতে আপনাকে পড়তে হবে শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ রচিত ‘হাঙকি আর পাঙকি’ নামের বইটি। শুধু আপনি একা কেন পড়বেন? আপনার আদরের ছোট ভাইটি, বোনটিও পড়বে। আপনার পিচকু সোনামনিও বাদ যাবে না। সেও পড়বে মজার এই বইটি। কারণ, মানুষ হলেও কী আমরা সত্যিকারের মানুষ? আমাদেরও কী উচিত নয় সত্যিকারের মানুষ হওয়ার সাধনা করা? অবশ্যই উচিত।
লেখক, সাংবাদিক ও ছড়াকার। রোমাঞ্চ, রহস্য ও ভ্রমণের নেশা আছে। ‘নিশিদল’ নামে একটি দুঃসাহসিক ভ্রমণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জন্ম ২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে, কিশোরগঞ্জের চুল্লী গ্রামে। বাবা শাহ মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ। মা হুসনেয়ারা।