Welcome to Rokomari.com!
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা মানেই মসজিদের ইমামতি, নয়তো ধর্মীয় শিক্ষক। মাদ্রাসা পড়ুয়াদের নিয়ে এমন চিত্রই ভেসে ওঠে চোখের সামনে। সভ্যতা আর প্রযুক্তিকে সহজে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ধর্মীয় মানুষজন সবসময় বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু চিরাচরিত সেই ধ্যান—ধারণাকে উপেক্ষা করে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন বোধের সৃষ্টি করেছেন কওমী মাদ্রাসা ছাত্র মিনহাজ উদ্দিন। যার পরিশ্রম, ইচ্ছা আর দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে হার মেনেছে সব প্রতিবন্ধকতা। ধর্মীয় পিছুটানের বেড়াজাল ও নানান জনের কটুকথা ছিন্ন করে সব বাধাকে জয় করে মিনহাজ উদ্দিন আজ একজন সফল আইসিটি উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার। মিনহাজ উদ্দিন কওমি মাদ্রাসা থেকে হাফেজ এবং দাওরায়ে হাদীস শেষ করেন। আলিয়া থেকে ফাযিল এবং কামিল পাশ করেন। পাশাপাশি শেরপুর সরকারি (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজ থেকে বি.এ অনার্স, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। পড়াশোনা আরবি লাইনের হলেও তিনি আজ একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ থেকেই তিনি আজ তথ্য প্রযুক্তিতে সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন, জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা পুরস্কার, রাইজিং স্টার পুরস্কার, এসডিজি পুরস্কার, বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ফ্রিল্যান্সার এবং সর্বশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার পেয়েছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশিত বইয়ে মিনহাজ উদ্দিনকে নিয়ে ফিচার করেছেন এ রকম বইয়ের সংখ্যা ৫টি। এটুআই থেকে ১টি বইয়ে মিনহাজ উদ্দিনকে নিয়ে ফিচার প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তাকে নিয়ে বিভিন্ন লেখা এসেছে। চ্যানেল ২৪ সহ বিভিন্ন টেলিভিশনে তার সফলতার গল্পটি প্রকাশ করা হয়। মিনহাজ উদ্দিন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির আস্থাভাজন। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন কোর্সের ব্যবস্থা করেন। সততা আর নিষ্ঠার কারণে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে মিনহাজ উদ্দিনের বেশিদিন সময় লাগেনি। একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং অফলাইন মার্কেটে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন। শুধু নিজের জীবন—মানের পরিবর্তনই নয়, মিনহাজ উদ্দিন চেয়েছেন তাঁর মত মাদ্রাসার ছাত্ররাও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ুক। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মাদ্রাসা ছাত্রদের একটাই স্বপ্ন, তাঁরা হয় মসজিদ অথবা মাদ্রাসায় চাকুরি করবেন। আমি চেয়েছিলাম তাঁরা এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুক, উৎপাদনশীল কিছু একটা করুক। সেই ভাবনা থেকে মিনহাজ উদ্দিন “আইটি টাচ ইন কওমি মাদ্রাসা নামে একটি কর্মসূচির আওতায় মিনহাজ প্রায় ১০০০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রশিক্ষণ দেন। এদের মধ্যে অনেকেই আজ সফল।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content