Sort

Reset Sort

Filter

Reset Filter

Shop by Categories

By Publishers

Price

Languages

Discount

Ratings

Allama Muhibuddin Tabari (Rh) books

followers

আল্লামা মুহিব্বুদ্দীন তাবারি রহ

আল্লামা মহিব্বুদ্দীন তাবারি রহ. (৬১৫-৬৯৪ হি./১২১৮-১২৯৫ ঈ.)। তার মূল নাম হলো, আল-ইমামুল কাবির, শায়খুস শাফেঈয়্যা, মুহাদ্দিসুল হিজাজ-আহমদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম ইবনে আবু বকর ইবনে আলি ইবনে ফারেস ইবনে ইউসুফ ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলি ইবনে আব্দুল ওয়াহেদ ইবনে মুসা ইবনে ইবরাহিম ইবনে মুসা ইবনে জাফর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলি ইবনে হুসাইন ইবনে আলি ইবনে আবি তালিব। তিনি ৬১৫ হি./১২১৮-১২১৯ ঈসায়িতে মক্কা মুকাররমায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ঊর্ধ্বতন পুরুষ মুসা ইবনে ইবরাহিমকে আব্বাসিরা তাড়িয়ে দিলে তিনি তাবারিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে তার বংশধরদের ‘তাবারি’ বলা হতো। উপনাম তার জীবনী রচয়িতাগণ তিনটি উপনামের কথা বলেছেন। ১. আবুল কাসিম। এটিই প্রসিদ্ধ উপনাম। অধিকাংশ লেখক এ উপনামটির কথা উল্লেখ করেছেন। ২. আবু জাফর। ৩. আবু মুহাম্মদ। লকব বা উপাধি তিনি ইলমিজগতে অতি উঁচুতে অধিষ্ঠিত ছিলেন বলে তাকে শায়খুল হারাম উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ইমাম ইয়াফেয়ি রহ. ও সুবকি রহ. তাকে এই উপাধিতে সম্বোধন করেছেন। সুবকি রহ. তো হাফিজুল হিজায শব্দটিও অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। হাফেজ জাহাবি রহ. ও সুয়ূতি রহ. তাকে ফকিহুল হারাম, মুহাদ্দিসুল হিজাজ, ও শায়খুশ শাফেঈয়্যা বলে সম্বোধন করেছেন। এছাড়া তাকে আর রাদি এবং আল মুহিব্বও বলা হতো। শিক্ষকবৃন্দ ১. আবুল হাসান আলি ইবনুল মুকাইয়ার রহ. (মৃত. ৬৪৩ হি.)। তৎকালীন মিসরের মহান এই মুহাদ্দিসের কাছে তিনি সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ি ও আল-ওয়াসিত লিল-ওয়াহিদি, আল হুমায়দির আল-জামউ বায়নাস সহিহাইন গ্রন্থের কিছুঅংশ, এবং আল-ফসিহ লিস সালাব, গারিবুল কুরআন লিল আজিজি প্রভৃতি গ্রন্থ অধ্যয়ন করেন। ২. আব্দুর রাহমান ইবনে আবু হারামি রহ. (মৃত. ৬৪৫ হি.)। বরেণ্য এই মুহাদ্দিসের কাছে তিনি সহিহ বুখারির শুরু থেকে কাব ইবনে মালিক রা.-এর ঘটনা পর্যন্ত হাদিসের সবক গ্রহণ করেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, মুহিব তাবারি তার কাছে বুখারির পূর্ণপাঠ গ্রহণ করেছিলেন। ৩. তার পিতার চাচা তকিউদ্দীন আলি ইবনে আবু বকর আত তাবারি রহ. এর নিকট তিনি সহিহ বুখারির পাঠ নেন। ৪. পিতার অপর চাচা ইয়াকুব ইবনে আবু বকর আত তাবারির নিকট জামে তিরমিজির পাঠ নেন। ৫. শরফুদ্দিন আবুল ফজল আল মুরসি আল আন্দালুসি (মৃত. ৬৫৫ হি.) রহ.-এর কাছে সহিহ ইবনে হিব্বান পড়েন। ৬. আবুল হাসান ইবনুল জুম্মাইজি রহ. (মৃত. ৬৪৯ হি.)-এর কাছে হাফিজ আল-কাসিম ইবনে ফজল আসসাকাফি (মৃত. ৪৮৯ হি.)-এর আল-আরবাঈন আস সাকাফিয়্যা ও ইমাম আবু তাহের আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ আস সিলাফি (মৃত. ৫৭৬ হি.)-এর আল-আরবাঈন আল বুলদানিয়্যার তালিম হাসিল করেন। ৭. শুআইব আয যাআফরানি রহ. (মৃত. ৬৪৫ হি.)-এর নিকট উভয় আরবাঈনের সবক গ্রহণ করেন। ৮. মুহিউদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে জারাদা (মৃত. ৬৬০ হি.)-ইবনুল আদিম নামে প্রসিদ্ধ-তাঁর কাছে জুযউ আনসারি পড়েন। ৯. শায়খুল হারাম নজমুদ্দীন বাশির ইবনে হামিদ আত-তাবরেজি (মৃত. ৬৪৬ হি.)-এর কাছেও তিনি জুযউ আনসারি পড়েন। ইমাম আবু ইসহাক ইবরাহিম ইবনে আলি শিরাজি রহ. (মৃত. ৪৭৬ হি.)-এর কিতাবু আততানবিহ ফিল ফিকহিশ শাফেয়ি পড়েন, এবং তার কাছেই ফিকাহশাস্ত্রের ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। ছাত্রবৃন্দ তিনি যেমন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহগণের নিকট ইলম অর্জন করেছিলেন, তার থেকেও অনেক বড় বড় মনীষী ইলম অর্জন করেছেন। তার কয়েকজন বিখ্যাত ছাত্রের নাম হলো : ১. নজমুদ্দীন ইবনুল খাব্বাজ (৬২৯-৭০৩ হি.)। আবুল ফিদা ইসমাইল ইবনে ইবরাহিম ইবনে সালিম ইবনে নজমুদ্দীন আস সালেহি আল—হাফেজ। ২. কুতবুদ্দীন আল-হালাবি (৬৬৪-৭৩৫ হি.)। আব্দুল করিম ইবনে আব্দুন নুর ইবনে মুনির আল-হালাবি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গ্রন্থের রচয়িতা। শরহু সহিহিল বুখারি, তারিখে মিসর ও শরহুস সীরাহ লিল-হাফিজ আবদিল গণি তার অমর কীর্তি। ৩. শরফুদ্দীন আদ-দিময়াতি (৬১৩-৭০৫ হি.)। আব্দুল মুমিন ইবনে খালাফ ইবনে আবুল হাসান ইবনে শরফ। তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচিয়তা। ৪. ফখরুদ্দীন আল-মাক্কি (মৃত. ৭৪৯ হি.) উসমান ইবনুস সাফি আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম ইবনে আবু বকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম আত-তাবারি। ৫. আবুল হাসান আল-আত্তার (৬৫৪-৭২৪ হি.)। আলাউদ্দিন আবুল হাসান আল আত্তার দিমাশকি শাফেয়ি। ৬. আলামুদ্দীন আল বিরযালি (৬৬৫-৭৩৯ হি.)। আল-কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ আল-বিরযালি আল-ইশবিলি ছুম্মা দিমাশকি। ৭. কুতবুদ্দীন আল কাস্তালানি (মৃত. ৬৮৬ হি.) ৮. নজমুদ্দীন আবু হামিদ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুহিব্বুদ্দীন আহমদ আত তাবারি (মৃত. ৭৩০হি.)। তিনি ছিলেন ইমাম মুহিব তাবারি রহ.-এর নাতি। ৯. আবু হাইয়ান আন-নাহভি (মৃত. ৭৪৫হি.)। মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ ইবনে আলি ইবনে ইউসুফ আল-গারনাতি আল-আন্দালুসি। ১০. মালিক আল-মুজাফফর (জন্ম-৬১৯ হি./১২২২ ঈ.; মৃত. ৬৯৪ হি.-১২৯৭ ঈ.। শাসনকাল ১২৪৯-১২৯৫ ঈ.)। ইউসুফ ইবনে উমর ইবনে আলি ইবনে রসূল। তিনি ছিলেন ইয়েমেনের সুলতান। তার পিতা মালিক আল-মানসুর নুরুদ্দীনও সেখানকার বাদশা ছিলেন।

আল্লামা মুহিব্বুদ্দীন তাবারি রহ এর বই সমূহ

(Showing 1 to 1 of 1 items)

Recently Viewed