রোদ কচলে সৌন্দর্য্যকে হাতের মুঠোয় ধরতে জীবনভর বহুবিচিত্র ভ্রমণ কবির। পথে পথে সরাইখানা ঝিলমিল করে ওঠে, পাখিদের উদ্দেশ্য যিনি ঝংকার তোলেন তার হাড়ের পিয়ানোতে, আকন্ঠ পান করেন জীবনের মধু, কবিতেই সেটা। অতলস্পর্শী ডুব সাতাঁর যাকে নিরুদ্দেশ করেনা বলং তাল নিরাকে হাওড়ের পোয়াতি মাছের ঘাইয়ের মত বুকে ডাক দিয়ে যান। কয়েক দশকজুড়ে যে ভ্রমণ তাঁর বাংলার নির্মাণের পথ ঘাট মাড়িয়ে আঁজলাভরে যিনি দিয়ে যান জীবনমধু, কবিতায়। সুতীক্ষ্ণ এক সহোদর আঘাতের চিহ্ন বাংলার নরম, উষ্ণ বুকের মত কবিও বয়ে চলেন। পথে প্রান্তরে সৌন্দর্য্য আর সত্যানুসন্দানের তাড়নাও প্রতিমুহুর্তে বয়ে বেড়ান অমলিন চিত্তে। জন্ম ৩ মে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ। নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার গ্রিদান টেংগা গ্রামে। পিতা মরহুম আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন তালুকদার। অকাল প্রয়াত পুত্র সাআদ মোস্তফার স্মৃতি, মাতা মোসাম্মাৎ বিহুসবানু, পুত্র তৈমুর আসাদ, উসাঈদ মোস্তফা ও স্ত্রী কামরুন্নাহারকে নিয়ে গৃহত্যাগী। কাব্যগ্রন্থ কালের সেঁওতি মাপে জল (২০০১), শ্বাস পতনের শব্দ (২০০৩), রক্ত মাংসের শ্লোক (২০০৮), হাড়ের পিয়ানো (২০১৫), গন্ধকুমারী ও পাপচিহ্ন (২০১৭), বাম হাতে সমুদ্র ঠেলছি (২০১৯) এবং রোদ কচলে মাটি করতে চেয়েছি (২০২০) সম্পাদনা :ছোট কাগজ ”ডুমুর” যুক্ত আছেন তরুণ কবি শিল্পি সাহিত্যিকদের উদ্যোগে, উদ্যেমে।