প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
ইয়াহইয়া সিনওয়ার
ইয়াহইয়া সিনওয়ার। ফিলিস্তিনের একজন খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা, লেখক, গবেষক। ফিলিস্তিনের সামরিক ও রাজনৈতিক দল হামাস-এর রাজনৈতিক শাখার প্রধান। ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনির সঙ্গে এক অসম লড়াইয়ে ইয়াহইয়া সিনওয়ার শহিদ হন। ধারণা করা হয়, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনাটি ছিল তার। ১৯৬২ সালে খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া সিনওয়ারের যৌবন কেটেছে ইসরায়েলি কারাগারে। খান ইউনিস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারাবিক স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ২০১১ সালে মুক্তির পর তিনি গাজায় হামাসের প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তেইশ বছরের বন্দি জীবনে তিনি চমৎকার হিব্রু শেখেন। হিব্রু থেকে গোয়েন্দা সংস্থা শিন-বেতের দুই প্রধানের তিনটি বই অনুবাদ করেন। এ ছাড়াও লেখেন আরও দুইটি গবেষণা গ্রন্থ, একটি আখ্যান ও একটি উপন্যাস—‘আশ-শাওক ওয়াল কারানফুল’ (কাঁটা ও ফুল)। পুরো নাম ইয়াহিয়া ইবরাহিম হাসান সিনওয়ার। ১৯৮৫ সালে তিনি রাহি মুশতাহার সাথে নিরাপত্তাসংস্থা ‘মাজদ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৯৮৭ সালে হামাসের ‘পুলিশ’ প্রশাসনে রূপান্তরি হয়। ২০১৭ সালে গাজার প্রশাসনিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ তিনি গাজাবাসীকে ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে ফেলতে উৎসাহিত করে বলেন, ‘আমরা নিপীড়ন ও অপমানে মারা যাবার চেয়ে শহিদ হয়ে মরতে চাই।’ সিনওয়ার ছিলেন গাজায় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার হামাস কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই ইসমাইল হানিয়া ইরানে শহিদ হলে সিনওয়ার হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন ৩ সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সালিহা সামার ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাকি ২ ভাইয়ের একজন মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং অন্যজন যাকারিয়া সিনওয়ার ফিলিস্তিনের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ও একাডেমিশিয়ান।