প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
তাহমিনা আহমেদ
তাহমিনা আহমেদ ১৯৪২ সনের ১লা জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন। খুব ছােটবেলা থেকেই তিনি গল্প-কবিতা লেখা, ছবি আঁকা ও সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। তার বাবা-মা উভয়েই শিল্পরসিক ছিলেন এবং তারা তাহমিনাকে যথেষ্ট উৎসাহ দান করেন। তাঁর শৈশব এর কিছুকাল তার নানা অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ জনাব লঙ্কর। রহমান এর কোলকাতার পার্লরােড, পার্ক সার্কাসে কাটে। তার নানাবাড়ীর সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল তার প্রতিভা বিকাশে যথেষ্ট সহায়ক হয়। তার লেখা গল্প-কবিতা ও আঁকা ছবি তৎকালীন দৈনিক আজাদ ও মাসিক আলাপনী পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত। “পঙ্খীরাজ” বইটিতে প্রকাশিত কবিতাগুলি তার খুবই অল্পবয়সে, অর্থাৎ প্রায় ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে লেখা। সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। পিতার উৎসাহে (যিনি নিজেও একজন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সমঝদার ছিলেন), তিনি ওস্তাদ আয়েত আলী খান ও ওস্তাদ মােহাম্মদ হােসেন খসরুর কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নেন। পিতার কর্মস্থল রাজশাহীতে থাকাকালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। শিক্ষাজীবনেও তাহমিনা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বিদ্যালয় হতে ১ম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ সালে তিনি হলিক্রস কলেজ হতে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বাের্ড-এর অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ার সময়। ১৯৬৩ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ও স্বামীর কর্মস্থল কানাডায় গমন করেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকায় ফিরে আসার কিছুকাল পর তিনি শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামী মরহুম কাজী রােমানউদ্দিন আহম্মদ একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। ১৯৮৪ সনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাহমিনার পিতা বগুড়া নিবাসী মরহুম কাজী মােখলেসুর রহমান একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন ও মেম্বার বাের্ড অব রেভিনিউ থাকাকালীন অবসরগ্রহণ করেন। কিছুকাল পরে তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তান সরকারের খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মাতা মরহুমা আসগরী বেগম একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী ছিলেন এবং তাঁর আঁকা ছবি ৩০ এর দশকে অবিভক্ত ভারতের কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিন কন্যার জননী তাহমিনা আহমেদ বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। - হাসিনা ইকবাল