প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
জাফর সাদেক
১৯৬২ সালের ২৮ নভেম্বর পাবনা জেলার পাকশী শহরে জন্মগ্রহণ করেন কবি জাফর সাদেক। নদীর পাড়ের শহরে বেড়ে ওঠা বিধায় পদ্মা তার কবিমনকে কল্লোলিত করতে পেরেছিলো দারুণভাবে। ছেলেবেলা থেকেই কবিতার প্রতি তার তীব্র আকর্ষণ। কিন্তু কবি নিজেই তার কাব্যময় জীবনকে দুটো পর্বে ভাগ করতে ইচ্ছুক। প্রথম পর্ব তার ছেলেবেলার কাঁচা হাতের খসড়া। তবে সেসময়টা তিনি কবিতা লিখার চেয়ে কবিতাকে খুঁজে বেড়ানোয় বেশি মনোযোগী ছিলেন। এমনকি মাঝে কাব্য খুঁজে পাওয়ার এ অন্বেষণে ভাটাও পড়েছিলো। কেননা পেশা হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন চাকরিকে। ১৯৮৯ সালে জার্মান ভিত্তিক একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘বেয়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড’ এ সিনিয়র ম্যানেজার পদে নিয়োজিত ছিলেন। নিজের পেশার প্রতি পূর্ণ সম্মান থেকেই হয়তো বা কবিতাকে ছুটি দিয়েছিলেন। তবে তার পোস্টিং হয়েছিলো মেঘনা পাড়ের আরেক অঞ্চল বরিশালে। তাই ঐ আগুনমুখা কিংবা কালমেঘার কাছেই কবি আশ্রয় চাইতেন। কিন্তু কবিতাকে পূর্ণরূপে পেয়েছিলেন ১৯৯৯ সালের কিছু পরে, এখান থেকেই দ্বিতীয় পর্ব শুরু। ১৯৯৯ সালের ১৩ জুলাই এক রোড অ্যাকসিডেন্টে কবির ডান পায়ে ফ্রাকচার হয়। এই ক্ষণিকের অবসরই মূলত তাকে কবিতার আরো কাছে নিয়ে যায়। জাফর সাদেক এর বই সমূহ বলতে আমরা পাঠকেরা বুঝে থাকি কিছু অমলীন কবিতার বই। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পায় ২০০৬ সালে যার নাম ছিলো ‘তাঁকে ছোঁয়া যেন ঈশ্বর ছুঁয়ে থাকা’। এছাড়াও তাঁর শিল্পকর্মে স্থান পেয়েছে আরো চারটি কবিতার বই ও একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। জাফর সাদেক এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘হাজং যুবতীর চুরুট’, ‘মন্ত্র নই তৃষার আঙুল’, ‘দম-যোগিনীর তাল’, ‘তিমির নীরে অবগাহন’, ‘আমার সোনার বাংলা ক্রান্তিকালের সংকট’। বই আকারে বের হওয়ার পাশাপাশি তাঁর কাব্যগ্রন্থে স্থান পাওয়া প্রায় সব কবিতাই পূর্বে নানা জাতীয় দৈনিকের সাময়িকী ও সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিলো।