প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
মোঃ আবুল ফয়েজ বি.এ
আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ বি.এ.। একজন অতি সাধারণ মানুষ। কিন্তু অসাধারণ তাঁর লেখনি। তাঁর পিতা মৃত আলহাজ্ব আবদুল মন্নাফ একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি খুব সুন্দর পুঁথি পাঠ করতেন। পুরো এলাকার মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতেন তাঁর পুঁথিপাঠ। মাতা মৃত তৈয়ব বানু ছিলেন খুব সহজ সরল ও সদালাপী একজন মানুষ। মোহাম্মদ আবুল ফয়েজের জন্ম ১৯৪১ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামন থানার ঘাগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের হাজীবাড়ী। তাঁর জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে গাছপালা ঘেরা নদীর তীরবর্তী ছায়াঢাকা পাখিডাকা শান্ত সুন্দর এই গ্রামে। বর্তমানে তিনি। নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। আবুল ফয়েজ বি.এ. কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার অষ্টগ্রাম হাইস্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে মেট্রিক পাশ করেন। নিজ নামে খ্যাত কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ হতে ১৯৫৯ সালে আই.এ. পাশ করেন। একই কলেজ হতে ১৯৬১ সালে বি.এ. পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে চাকরির জন্য চলে যান চট্টগ্রামে। যোগদান করেন তৎকালীন হাবীব ব্যাংকের প্রধান শাখায়। বেশ কিছুদিন কর্মকর্তা পদে চাকরি করেন সে ব্যাংকে। তারপর চলে আসেন নিজ গ্রামে। ইতোমধ্যে তিনি বিয়ে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। গ্রামে ফিরে তিনি নীরব বসে থাকেন নি। মনোনিবেশ করেন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদানের মতো পবিত্র কাজে। মানুষ গড়ার কারিগর মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ বি.এ. এলাকার কিছুসংখ্যক উদ্যোমী মানুষকে সাথে নিয়ে খলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে ভূমিকা রাখেন এবং উক্ত স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়। নিজ হাতে গড়া এই স্কুলেও বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করেন শিক্ষানুরাগী এই মানুষটি। এরপর শিক্ষকতা করেন ভাটী এলাকার স্বনামখ্যাত অষ্টগ্রাম থানার কাদিরপুর হাইস্কুলে। সেখানে কিছুদিন শিক্ষকতার পর চলে আসেন গ্রামে। শুরু করেন জনসেবা। তারই অংশ হিসেবে পূর্ব খলাপাড়া ইবতেদিয়া মাদ্রাসা ও কবরস্থান স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। নামাজ রোজার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে নীরব পরিবেশে বসে লেখালেখি করেন। মানব জীবন, প্রকৃতি, ইহকাল পরকাল তাঁর লেখার উপজীব্য।