প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
হেলেন কেলার
দৃঢ় সংকল্পের প্রতীকের নাম হেলেন কেলার। তার দৃঢ় সংকল্পের জন্য তিনি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন । অন্ধ ও বধিররা সাধারণত যে সাফল্যচূড়া স্পর্শ করতে পারে না সেই দুরধিগম্য সাফল্যচূড়ায় আরােহন করেছিলেন তিনি। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । অথচ জন্মের উনিশ মাস বয়সে অসুস্থতার কারণে হেলেন তাঁর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন । হারিয়েছিলেন তার বাকশক্তিও। এর পাঁচ বছর পর তাঁর জীবনে এলেন অ্যানে সুলিভান । শিক্ষিকা সুলিভানের আগমনে নতুন উষার আলােকে জেগে উঠল হেলেনের জীবন। অনেক সংগ্রামের পর হতাশার উপত্যকা থেকে বেরিয়ে এসে হেলেন কেলার পা রাখলেন আশার ভুবনে । ব্রেইল পদ্ধতিতে লিখতে পড়তে শিখলেন তিনি । তিনি সবসময় মানুষের কথা বলেছেন। মানুষের অধিকার ও নারী জাগরণের পক্ষে তার কণ্ঠ ছিল সােচ্চার। তাঁর ‘দ্য ফ্রস্ট কিং' (১৮৯১), 'দ্য স্টোরি অব মাই লাইফ' (১৯০৩), দ্য ওয়াল্ড আই লিভ ইন’ (১৯০৮), ‘আউট অব দ্য ডার্ক’ (১৯১৩) প্রকাশিত হওয়ার পর চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তার সাহিত্যকর্মের রসদ নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ও টিভি সিরিয়াল। অতি সম্প্রতি বলিউডের উল্লেখযােগ্য চলচ্চিত্র 'ব্ল্যাক' নির্মিত হয়েছে হেলেন কেলারের জীবনকে ঘিরেই। সম্মাননাও কুড়িয়েছেন অনেক । হেলেন কেলার অনেক ভাষা জানতেন। শুধু ইংরেজিই নয় জানতেন ফ্রেঞ্চ, জার্মান, গ্রীক এবং ল্যাটিন ভাষা। হেলেন কেলার বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। আছেন আমাদের হৃদয়েও। হেলেন কেলারের জন্ম ১৮৮০ সালের ২৭ জুন দক্ষিণ এ্যালবামার একটি ছােট্ট শহরে তাসকাম্বিয়ায় । মৃত্যু ১৯৬৮ সালের ১ জুন আরকান রাইডের ছােট শহর ওয়েস্টপেপার্ট-এর কানেকটিকাটে । পিতা : ক্যাপটেন আর্থার এইচ, কেলার, মাতা : কেট অ্যাডামস কেলার ।