প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
মুনির সিরাজ
মুনীর সিরাজের জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬, মাতুলালয় বিক্রমপুরের শ্রীনগর থানার অন্তর্গত খৈয়াগাঁও গ্রামে। বাড়ি বিক্রমপুরের সিরাজদিখান থানার অন্তর্গত বাহেরঘাটা গ্রাম। তিনি কবি, কাব্য-সমালোচক, অনুবাদক এবং সাহিত্য গবেষক ও প্রবন্ধকার। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়টি। ১৯৫৭ সালে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় লেখালেখির শুরু। ১৯৬০ সালে শিশু-সাহিত্য পত্রিকা ‘রঙধণুতে প্রথম প্রকাশিত কবিতার শিরােনাম ‘শূন্য’ । উক্ত সাহিত্য পত্রিকার পক্ষ থেকেই তিনি কবিতা এবং ঋতু বিষয়ক প্রবন্ধ ‘হেমন্ত রচনার জন্য প্রথম সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। ১৯৭৬ সালে তার প্রথম কবিতার বই ‘বিরুদ্ধ স্রোতে যাত্রার জন্য বাংলাদেশ লেখক শিবির’ তাকে ‘হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৯৮ সালে আলাউদ্দিন আহমেদ। সাহিত্য পরিষদ’ তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে। ২০০১ সালে মুনীর সিরাজকে কবি সুকান্ত সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০০২ সালে খুলনা রাইটার্স ক্লাব পদক' প্রদান করা হয়। পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হওয়া ছাড়াও নেপাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কবিতার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চেতনাগত দিক থেকে মুনীর সিরাজের কবিতা ও সাহিত্য গণমানুষের চিন্তা-চেতনার সাথে সম্পৃক্ত। নির্যাতিত মানুষের অবিরাম সংগ্রাম এবং শােষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি বিশ্বাসী। মুনীর সিরাজ ‘উন্মেষ সাহিত্য এবং সংস্কৃত সংসদ'-এর সদস্য ও প্রাক্তন সভাপতি, আজীবন সদস্য বাংলা একাডেমী, আজীবন সদস্য রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র, সদস্য, নির্বাহী কমিটি জাতীয় কবিতা পরিষদ এবং সদস্য— এডগার এ্যালেন পাে সােসাইটি অব বাল্টিমাের, যুক্তরাষ্ট্র। তিনি দ্বিভাষিক কবিতা পত্রিকা (বাংলা ও ইংরেজি) ‘কবিতাকলাপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। পেশাগত জীবনে মুনীর সিরাজ একজন বিশিষ্ট শিশুরােগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অধ্যাপক ডা. মােঃ সিরাজুল ইসলাম নামে পরিচিত। তিনি ১৯৭৩ সালে এমবিবিএস, ১৯৮২ সালে এফসিপিএস (শিশু) এবং ১৯৯৩ সালে শিশু পুষ্টি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’-এর প্রাক্তন পরিচালক এবং বর্তমানে উক্ত ইনস্টিটিউট ও ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল’-এর শিশুমেডিসিন বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান। দেশে-বিদেশে শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে তার বেশ কিছু গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে, বিশেষ করে নেপালি শিশুচিকিৎসক প্রশিক্ষণের ব্যাপারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ১৯৯৯ সালে নেপাল শিশু-চিকিৎসক সমিতির অনারারি সদস্যপদ দিয়ে সম্মানিত করা হয় এবং তাকে ‘অম্বিকা মেমােরিয়াল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। নেপাল পেরিনাটাল সােসাইটি’ নভেম্বর ২০০১ সালে তাকে ‘পেসন ওরেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। তিনি ‘কমনওয়েলথ ফাউন্ডেশন ১৯৯১' এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলাে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল জার্নাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।