প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
অনু ইসলাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা অনু ইসলাম একজন সংগ্রামী ও প্রগতিশীল মানুষ। স্কুল জীবনের শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলনের রাজপথের ডাক তাকে দাবী আদায়ের পথে নামায়। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে ভয়ডরহীন ভাবে মিছিলে ছুটে যেত । রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই - এই স্লোগানে স্বাধিকার আন্দোলনের হাতে খড়ি - যা একদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কুটিবাড়ির দোড় গোড়ায় শৈশব কৈশর বেড়ে ওঠা সাহিত্য – সংস্কৃতিতে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। গান বাজনা নাটক সাহিত্য চর্চায় মেতে উঠে গড়ে তোলেন প্রভাত রবি’ সংগঠন। প্রভাত রবিতে চলে গানের ক্লাস, সাহিত্য আসর, আবৃত্তি চর্চা। কলেজ জীবনে মফঃস্বল সাংবাদিকতা, লেখালেখি, দেয়াল পত্রিকা ইত্যাদি নিয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রধান উপজীব্য। নেত্রকোনা কলেজে অধ্যায়নকালে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ময়মনসিংহ ১৯৬৩-১৯৬৪ সালে আন্ত:কলেজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আবৃত্তি, গল্পবলা, নাটক ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত থাকেন। তার সম্পাদনায় প্রকাশ পায় ময়ূখ বার্ষিক কলেজ ম্যাগাজিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, উনসত্তরের গণ আন্দোলন সামনে এসে পড়ে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি, ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার আন্দোলনে প্রচন্ডভাবে শরীক হন। দেয়াল পত্রিকা ও নিজস্ব ‘সাম্প্রতিক সংগঠনের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারী ও বৈশাখের অনুষ্ঠানে ছিলেন দুর্নিবার দুর্দান্ত। একাত্তরের প্রবাসী সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক ও জয়বাংলায় ছিলেন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর সহকারী হিসাবে মু্ক্তিযুদ্ধে সাড়া জাগানো ও বাংলাদেশ কথা কয় বইয়ের লিখন ও প্রকাশে সহযোগিতা করেন। রণাঙ্গন, মুজিব নগর ও অধিকৃত দেশে জয়বাংলা পত্রিকা যুদ্ধজয় ও যুদ্ধের দারুণ প্রত্যয় ও সাহস জোগায়। স্বাধীন বাংলা বেতারে গল্প কবিতা লেখেন যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধিকার আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি একজন মুক্তমনের মানুষ। স্বাধিকার আন্দোলনে যেমন রাজপথের অকুতভয় কর্মী মুজিবনগরে জয়বাংলা দফতরে প্রকারান্তে কর্মাধ্যক্ষ থাকার সুবিধায় প্রচুর তরুণকে যুদ্ধমুখী ও মানসিক মনোবলে উজ্জীবিত করেছেন। আজীবন মুক্তিযুদ্ধ হৃদয়ে ধারন করে আছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম শ্রেণির গীতিকার ও সংবাদপত্রের একজন কলামিষ্ট, কবি ও লেখক। বাংলাদেশ বেতার থেকে পরিচালক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। সৌদি বাদশাহ্র আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসাবে ১৯৯৭ সালে পবিত্র হজ্জ পালন করেন। অবসর গ্রহণের পরে রাজশাহীর পুঠিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থ সামাজিক মানুষের জীবন মান উন্নয়ণের জন্য দাতাদের আর্থিক সহযোগিতায় টিউবওয়েল, পয়ঃপ্রণালী তথা টয়লেট, ঘর, বিয়ে সাদি, সেলাই মেশিন ইত্যাদি সরবরাহ করে সমাজ সেবা মূলক কাজে আত্মনিয়োগ করে আছেন।