প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
ডক্টর মুহাম্মদ মোহর আলী
মুহাম্মদ মোহর আলী (১৯৩২-২০০৭) বাংলাদেশের একজন ইসলামি ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ও লেখক। তিনি বাগেরহাট জেলাধীন ফকিরহাট থানার শুভদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম আলী ও মাতা আয়াতুন্নেসা বেগম। ছয় বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হন এবং মামার তত্বাবধানে তার লেখাপড়া শুরু হয়। হুগলী মাদরাসা ও মহসিন কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করেন। বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের একজন নেতা হিসেবে ভারত বিভাগের প্রাক্কালে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, আবুল হাশিম ও শাহ্ আজিজুর রহমানের সাথে তার গভীর হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। দেশবিভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন। কাজী নজরুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হয়ে আরবি ও ইতিহাস অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স ও এম এ ডিগ্রি নেন। কর্মজীবনে ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ (১৯৫৪-৫৫), ঢাকা সরকারী কলেজ (১৯৫৫-৫৬), চট্রগ্রাম সরকারী কলেজ (১৯৫৬-৫৭) এবং রাজশাহী সরকারী কলেজ (১৯৫৭) ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন School of Oriental and African Studies (SOAS) থেকে The Bengali Reaction to Christian Missionary Activities (1833-1857) শিরোনামে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। একই সময় লিংকনস্ ইনে আইন অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে বারএট’ল ডিগ্রী অর্জন করেন। দেশে ফিরে ঢাকা হাইকোর্টে যোগদান করেন। পরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে তার সম্পাদনায় The Autobiography and The Other Writings of Nawab Abdul Latif প্রকাশিত হয়। ১৯৭৫ সালে লন্ডনে মুসলিম কাউন্সিল অব ইউরোপের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে History of the Muslims of Bengal নামে নিবন্ধ পাঠের পর তাকে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি History of the Muslims of Bengal গ্রন্থের জন্য ২০০০ সালে মুসলিম বিশ্বের নোবেল প্রাইজ বাদশাহ ফয়সল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল এই ধ্রুপদী ইতিহাসবিদ লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।