প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
ড. মুহাম্মদ হিফযুর রহমান। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন জয়পুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। তার নানা মাওলানা আব্দুল বারী রাহিমাহুল্লাহ কলকাতা আলীয়া মাদরাসা হতে প্রথম শ্রেণীতে কামিল ও দাদা মাওলানা আবদুল মান্নান রাহিমাহুল্লাহ রিয়াছাতে রামপুর ইন্ডিয়া হতে ব্রিটিশ আমলে ফযীলত সনদ লাভ করেন। পিতা মাওলানা আবিদুর রহমান ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মায়ের নাম মাজেদা বেগম। পিতার নিবীড় সাহচর্যে তার পড়ালেখার হাতে-খড়ি হয় এবং ১৯৮৬ সালে ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা হতে মেধাবৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে দাখিল, ১৯৮৮ সালে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থানসহ আলিম, ১৯৯০ সনে প্রথম শ্রেণীসহকারে অষ্টম স্থানসহ ফাজিল, ১৯৯২ সালে প্রথম শ্রেণীসহ হাদীস বিভাগে কামিল শ্রেণীতে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে তিনি কুমিল্লা জেলার সৈয়দপুর কামিল মাদরাসায় প্রধান মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ লাভ করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ৩ মার্চ তিনি টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন এবং কুরতুবী ক্যাডেট মাদরসায় প্রধান মুফতীর পদ অলংকৃত করেন। ২০০৫ সালে দাউদকান্দির দশপাড়া হযরত কবির উদ্দিন কামিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন এবং ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কামিল ফিকহ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান এবং ১৯৯৯ সালে কামিল আদব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবী ভাষা ও সাহিত্যে (এমএ) প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান (প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাক্তন উপাচার্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া)-এর তত্ত্বাবধানে “আবুল আতাহিয়্যাহ ও আবুল আ‘লা আল মা’আরবীর কবিতায় মরমিবাদ” শিরোনামে গবেষণা কর্মের উপর ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিলো, “বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় হাদীস চর্চা : সমাজ ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব (১২৭৬-২০০০ খ্রিস্টাব্দ)”। এর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন, ড. আ. জ. ম. কুতুবুল ইসলাম নো’মানী (সহযোগী অধ্যাপক, আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। জনাব হিফযুর রহমান অত্র গ্রন্থ ছাড়াও আকাইদ, ফিকহ ও সাহিত্য বিষয়ে কয়েকটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেনÑ (১) মেহমান ও মেহমানদারি; (২) আহলুসুন্নাহ ওয়াল জামাআ’তের পরিচয়; (৩) মো’জামু লোগাতিল ফোকাহা (আরবী-বাংলা); (৪) আরবী ভাষায় রচিত প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার গ্রন্থ- عقائد اهل السنة ما ثبتت بالكتاب والسنة - কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকীদাহ, (৫) لوامع البرهان على نواقض الايمان (আরবী) - স্পষ্ট দলীল-প্রমাণ-সহ ঈমান ভঙ্গের কারণ, (৬) বিষয়ভিত্তিক ইসলামী প্রবন্ধ সমগ্র- المنن الربّانية على الامة المحمدية (আরবী) - উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ নেআমাত, (৭) অভিনব ফিকহী মাসাইল; (৮) আহকামে মাইয়্যেত (অনুবাদ)। আলোচক ও গবেষক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে তাঁর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা প্রচারিত হয়। ‘তা’মীরুল উম্মাহ মাদরাসাহ ও ইনসাফ হাউজিং সোসাইটি মাসজিদ’ দৌলতপুর, কুমিল্লায় তিনি সম্মানিত খতীব হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি সৌদি সরকারের রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে সৌদি আরব সফর করেন এবং ওমরাহ পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসা নরসিংদীর মুহতারাম উপাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান মাদানীর প্রথমা কন্যা আমেনা বিনতে মাহমুদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content