প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল্লাহ আল আমিন
অধ্যাপক ডা. মাে. আবদুল্লাহ-আল-আমিন দেশের একজন স্বনামখ্যাত শল্যচিকিৎসক ও শিক্ষক। ১৯৫৫ সালের পহেলা অক্টোবর পাবনা জেলার শাহজাদপুর থানাধীন গােপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এ. কে. এম আলতাফুর রহমান, মাতা বেগম উম্মে ছালমা জয়নাব । চার ভাইবােনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম । তার শৈশব কাটে শাশ্বত গ্রামবাংলার কাদা, জল, মাটির আদর আর গন্ধ গায়ে মেখে । সরকারি চাকরিজীবী বাবার কর্মস্থল ফরিদপুর জেলা শহরের ঈশান উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু ১৯৬০ সালে । এসএসসি পাস করেন পাবনার ঈশ্বরদী শহরের সাড়া মারােয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে । চলে আসেন ঢাকায়, ভর্তি হন সরকারি জিন্নাহ কলেজে। ১৯৬৯-এর সফল গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের যে প্রচণ্ড জোয়ার দেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙালির হৃদয় আন্দোলিত করেছিল, তার ঢেউ বয়ে গিয়েছিল সেই তরুণের উপলব্ধির মর্মমূলেও। তাই তাে সেই সময়ের সকল ছাত্রজনতার মিছিলে মিছিলে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন একাকার । ছাব্বিশে মার্চ সকালে স্থানীয় ছাত্রযুবাদের সঙ্গে তিনিও যােগ দেন সশস্ত্র প্রতিরােধ বাহিনীতে। স্থানীয় অবাঙালিদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে গড়ে। তােলেন মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্প । উনত্রিশে মার্চ '৭১ তারিখে পাবনা শহর শত্রুসেনামুক্ত করার যুদ্ধে ঈশ্বরদী থেকে পায়ে হেঁটে অংশগ্রহণ করেন এবং শত্রুমুক্ত করে ফিরে আসেন ঈশ্বরদীতে । সাতই এপ্রিল পরিবারের সঙ্গে শাহজাদপুরে চলে আসেন । তারপর মুক্তিযুদ্ধের বাকি সময়টা শাহজাদপুর ও চৌহালী থানার গ্রামগঞ্জে, পথেপ্রান্তরে প্রত্যক্ষ এবং পরােক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাণ্ডে ছুটে বেড়িয়েছেন। বারডেম হাসপাতাল এবং ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ২০১৪ সালের শেষভাগে অবসরে যান এবং বর্তমানে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের সাম্মানিক অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন । ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী ডা. জাহান আরা আরজু, কন্যা ডা. সারাহ আবদুল্লাহ এবং পুত্র ডা. নাঈম আবদুল্লাহ।