প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
আ. ফ. ম. নাজমুস সালেহীন সাক্ষ্যস্মারক
৭৫ বছরের জীবনে আ.ফ.ম. নাজমুস সালেহীন শিক্ষকতা করেছেন ৪৫ বছর। ঈদের নামাজের ইমাম ছিলেন ৬০ বছর এবং মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৫০ বছর। ফলে শিক্ষক ও ইমাম হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নিজের এলাকা কুষ্টিয়ার ঈদগাহপাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করে তিনিই প্রথম আজান দেন। ইমাম ও খতিবের দায়িত্বের পাশাপাশি মসজিদের বারান্দায় মক্তব চালু করে শিশুদের কুরআনশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। দরিদ্রদের জন্য আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ, দুস্থদের জন্য দাতব্যচিকিৎসালয়, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, 'আজান' নামে একটা সাহিত্যপত্রিকা প্রকাশসহ নানা ধরনের সহায়তা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালু করেন ঈদগাহপাড়া মসজিদকে কেন্দ্র করে। "নামাজের জন্য এসো, কল্যাণের জন্য এসো" আজানের এই আহ্বানকে জীবনের ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন নাজমুস সালেহীন। স্বভাবতই 'নামাজ ও কল্যাণ'ই ছিল তাঁর আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্র, দু'টি ধারায় বিভক্ত হয়ে সমান গতিতে যা প্রবহমান ছিল তাঁর জীবনে। মানুষকে সারাজীবন কল্যাণ ওনামাজের জন্য যেমন ডেকেছেন, তেমনি তাতেই নিয়মিতভাবে নিমগ্ন রেখেছেন নিজেকেও। সভা-সমিতিতে কথা বলেছেন বিরামহীনভাবে, পথ-নির্দেশ করেছেন প্রতিদিন। স্বচ্ছদৃষ্টির অধিকারী এই মানুষটি মসজিদ-মাদ্রাসা- এতিমখানা-দাতব্যচিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠাকরে সমাজের সুস্থতার জন্য সক্রিয় ছিলেন, বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে থেকে ছুটেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। একজন আদর্শ 'উন্নয়নকর্মী' হিসেবে তাঁর ভূমিকা সত্যি অনন্য। তাঁর মেধা-মনীষা ও ধী-শক্তি সবসময়ই প্রশংসিত ছিল সভ্যসমাজে। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র এবং শিক্ষক এই মানুষটি অনিয়মিতভাবে লেখালেখিও করতেন বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে। বিচিত্র আমার জীবন, স্বপ্ন আমার ক্বা'বা তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। 'খুতুবাতুল ইসলাহ' নামে তিনি ও মাওলানা আব্দুল হালিম শরীফ যৌথভাবে একটা চমৎকার খুতবা সম্পাদনা করেছেন। আ.ফ.ম. নাজমুস সালেহীন ও তাঁর কাজকে খুব কাছথেকে যাঁরা দেখেছেন, তেমন ৭৫-জন লেখক তাঁর ৭৫-বছরের জীবনের মূল্যায়ন করেছেন এই গ্রন্থে। মানুষ এবং সমাজ নিয়ে যাঁরা ভাবেন, তাদের জন্য গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যাঁরা পেশায় শিক্ষক, ইমাম, এবং সমাজকর্মী তাঁদের জন্য গ্রন্থটি বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে।