মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন

জন্ম : ১৯৬৫ সালে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামে। পিতা : মোস্তফা কামাল (কামাল মাস্টার)। মাতা : দিল আরা বেগম। তাঁর পিতা ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন। বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বরাবরই ক্লাসের সেরা ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ঐতিহ্যবাহী রামু কেন্দ্রিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করেন। ১৯৭৮ সালে রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে জুনিয়র বৃত্তি এবং ১৯৮১ সালে একই বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৩ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ হতে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিললায় মেধা তালিকায় ত্রয়োদশ স্থান লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে অনার্স ও ১৯৮৭ সালে একই বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে বি.এড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পদে চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে রাঙামটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষকতা জীবন শুরু। তারপর বিভিন্ন স্কুলের সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত অত্যন্ত সফল একজন শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ২০০৩ শিক্ষাবর্ষে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন । এই জনপ্রিয় শিক্ষক সৃজনশীল প্রশ্নপত্র পদ্ধতি ও সিপিডি-এর মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণেতা, মডারেটর এবং ১৯৯৯ সাল হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম-এর প্রধান পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কক্সবাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি তিন বছর অবৈতনিক প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।ছাত্রজীবন থেকে মনের খেয়ালে কবিতা, ছড়া, ছোটগল্প ইত্যাদি লিখতেন। ২০০৪ সালে সহকর্মী শিক্ষক বিশিষ্ট ছড়াকার রমজান মাহমুদ (বর্তমানে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত)-এর উৎসাহে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সাথে যুক্ত হন । কবিতা, ছড়ার পাশাপাশি লিখছেন প্রবন্ধও । তিনি নির্ঝর (১৯৯২), গিরিদর্পণ (১৯৯৭), স্ফূরণ (২০০৭), অগ্রযাত্রা (২০০৮) ও বৃত্ত (২০১৩) নামের লিটলম্যাগও সম্পাদনা করেন। তিনি কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর জীবন সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জীবন সদস্য, শিল্পকলা একাডেমী, কক্সবাজার-এর সদস্য এবং সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রামু-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ।