প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
গাজী মো. মোজাম্মেল হক
জন্ম ১৯৬৬ সালে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে। বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক গাজী মো. সফর আলী। মাতা রত্নগর্ভা সালেহা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে অধ্যয়ন শেষে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট) হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত। বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন ও চর্চার মাধ্যমে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের জন্য 'ভূমি তথ্য ব্যাংক' ও 'ভবন তথ্য ব্যাংক' গঠন করেন। ভূমিসংক্রান্ত নানা সমস্যা ও তথ্যসম্বলিত বিষয় নিয়ে তিনি 'নিষ্কন্টক জমির মালিকানা নামে একটি বই রচনা করেন যা পুলিশ বিভাগ ও সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া, পুলিশ বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আবাসনের জন্য 'পিওএইচএস' ও 'পিওএইচএস-২' নামে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। পুলিশ বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ও শুভাকাঙ্খীদের আবাসনের জন্য 'পিওএইচএস-৩' ও 'আনন্দ হাউজিং সোসাইটি' প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ অনুসারী। আওয়ামী লীগের জন্ম লগ্ন থেকে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দলের জন্য কাজ করেছেন। সঙ্গত কারণেই শৈশব থেকেই রাজনীতির ঘরানায় লেখকের পদচারণা ছিল। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রামে বাবা ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়। একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্থানীয় তরুণ-যুবক, ছাত্র-কর্মজীবী সকলকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করতেন, ভারতে নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেন, প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেন, যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতেন। '৭১-এর যুদ্ধের স্মৃতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার এক সীমাহীন উৎস লেখকের নিকট। ১৯৭৫ এর কালরাত্রির ভয়াল নৃশংস ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়ের যে অন্ধকার বাঙালি জাতিকে অতিক্রম করতে হয়েছে সে সময়কে লেখক উপলব্ধি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সবকিছু মুছে দেওয়ার অন্তহীন প্রচেষ্টা ছিল ঘাতকদল ও তাদের সহযোগীদের। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত অনুসারীরা সে চেতনা জাগিয়ে রেখেছেন সেরকম-ই একজন মানুষ গাজী মো. মোজাম্মেল হক। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ