আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরাধিকারী। জাতির জনকের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে তিনি কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তিনি ঘোষণা করেছেন রূপকল্প ২০২১। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তিনি এ পথ ধরে এগিয়ে চলছেন।
’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্র শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে যখন বাংলার আপামর জনসাধারণ দিগভ্রান্ত, তখন আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের জনগণের কাণ্ডারি হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বিমানবন্দরে লাখো জনতার উপস্থিতিতে আবেগময় কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি আপনাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।” বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা করছেন জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাঁর এ বক্তব্য পালন করতে। তাঁর নেতৃত্বে আজ বিশ্বের বুকে ক্রমেই মাথা উচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে শেখ হাসিনার সাফল্যগাথাঁ। তাই তাকে নিয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে সারাবিশ্বে। কার্যত বাংলার অসহায়, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, গরিব-দুঃখি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে তার সুহৃদদের অসংখ্য লেখার মধ্য থেকে নির্বাচিত লেখা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি।বইটিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রায় অর্ধশতাধিক সাদাকালো ও রঙিন ছবি থাকবে। আশা করি বইটি জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ব্যক্তি এবং গবেষকদের বিশেষ উপকারে আসবে। বইটি নিঃসন্দেহে সযত্নে সংগ্রহে রাখার মতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর বরেণ্য লেখকদের প্রায় অর্ধশতাধিক লেখা নিয়ে শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য সম্পাদিত বই গণতন্ত্র ও উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জয়ন্ত আচার্য দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক। শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। গােপালগঞ্জের এস এম মডেল স্কুলে এবং বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গােলাম। আযমের নাগরিকত্ব বাতিলসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন। জয়ন্ত আচার্য দৈনিক লাল সবুজ ও দৈনিক বাংলা থেকে প্রকাশিত বিচিত্রা পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতার পথ চলা শুরু করেন। ইউএসএইড'র সহযােগিতায় দিল্লিতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর পক্ষকাল ব্যাপি প্রশিক্ষণ নেওয়া জয়ন্ত আচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। দৈনিক প্রভাত, সাপ্তাহিক ২০০০,ভােরের কাগজ, চ্যানেল আই, বিডিনিউজ, একাত্তর সহ বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে। অনলাইন নিউজপাের্টাল ও বার্তা সংস্থা ভিনিউজের সম্পাদক জয়ন্ত আচার্য বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসােসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির সদস্য, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, আমরা মুক্তিযােদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে অবদান রাখছেন। এছাড়া তিনি দেশের নির্বাচন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিইডিএসএস এর সমন্বয়ক। ফাউন্ডেশন ফর রিজিওন্যাল স্টাডিসের অর্থ বিষয়ক পরিচালক। জাতীয় অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি, জাতীয় সম্প্রচার ও কমিশন গঠন নীতিমালা কমিটির সদস্য হিসেবে অবদান রেখেছেন জয়ন্ত আচার্য। জয়ন্ত আচার্যের সম্পাদনায় ইতিমধ্যে ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর তার আলােচিত গ্রন্থ ‘দৃষ্টির অন্তরালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। তার প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ হলাে ; আদিবাসী জনপথের পথে প্রান্তে, গাজীপুরের আদিবাসীদের কথা, মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর, মহাজোট সরকারের উন্নয়ন। মুক্তিযােদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিনের সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা ও বাংলাদেশের নির্বাচন ১৯৭০ থেকে ২০০৮ গ্রন্থের গবেষণা সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন জয়ন্ত আচার্য। ৭১ এর ২৫ মার্চের কালাে রাতের উপর কাওসার চৌধুরির নির্মিত সেই রাতের কথা বলতে এসেছি’র সহকারী প্রযােজক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ‘উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বইটি তার দীর্ঘদিনের গবেষণার ফসল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলােকে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন জয়ন্ত আচার্য । সেই লক্ষ্যেই তার নিরন্তর পথ চলা।