bফ্ল্যাপে লিখা কথা/bbr ব্রিটিশ-শাসিত বাংলার সমাজব্যবস্থা ও জনজীবনের পুনর্গঠন, বাঙালির জাগরণ, নতুন সাহিত্যসৃষ্টি এবং ধর্মসংস্কার ও সমাজসংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির অসামান্য সৃষ্টিশক্তির অভিব্যক্তি ইত্যাদির চিত্তাকর্ষক বর্ণনা আছে এ-গ্রন্থে। আবুল কাসেম ফজলুল হকের দৃষ্টিতে ইতিহাস মৃত অতীতের নিষ্প্রাণ বিবরণ নয়- জীবন্ত বর্তমানের অন্যতম প্রাণশক্তি। ইতিহাসকে তিনি মনে করেন পরিবর্তনের রুহস্য উদঘাটনের আর বিভিন্নমুখী সম্ভাবনার বাস্তবসম্মত চিত্র অঙ্কনের প্রয়াস। বর্তমান গ্রন্থে তাঁর পর্যবেক্ষণ : রামমোহন-ভবানীচরণ-ঈশ্বরগুপ্তের হাতে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের শৈশব, প্যারীচাঁদ-বিদ্যাসাগর-মধুসূদন-দীনবন্ধুর হাতে কৈশোর, বঙ্কিমে যৌবনের উন্মেষ, রবীন্দ্রনাথে যৌবন এবং শরৎচন্দ্রের পর আধুনিকতাবাসীদের হাতে পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য। শ্রেণিসংগ্রাম ও সৃষ্টিশীলতার সূত্র ধরে লেখক চেয়েছেন অতীতের গর্ভ থেকে বর্তমানকে মুক্ত করতে এবং যুগান্তরের অস্ফুট মহান সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে।brbr bসূচিপত্র/bbr * সাহিত্যের সৃষ্টিপ্রক্রিয়া ও সাহিত্যস্রষ্টার ব্যক্তিত্বbr * বাংলা সাহিত্যের রূপান্তর : মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগbr * সমাজব্যবস্থার রূপান্তর : সামন্তশ্রেণির অবক্ষয়br * সমাজব্যবস্থার রূপান্তর : মধ্যশ্রেণির উত্থানbr * মধ্যশ্রেণির জীবনভাবনা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যbr * যুগসংক্রান্তির জীবনোৎকণ্ঠা : নবযুগের অভীপ্সাbr * বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যতbr bফ্ল্যাপে লিখা কথা/bbr ব্রিটিশ-শাসিত বাংলার সমাজব্যবস্থা ও জনজীবনের পুনর্গঠন, বাঙালির জাগরণ, নতুন সাহিত্যসৃষ্টি এবং ধর্মসংস্কার ও সমাজসংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির অসামান্য সৃষ্টিশক্তির অভিব্যক্তি ইত্যাদির চিত্তাকর্ষক বর্ণনা আছে এ-গ্রন্থে। আবুল কাসেম ফজলুল হকের দৃষ্টিতে ইতিহাস মৃত অতীতের নিষ্প্রাণ বিবরণ নয়- জীবন্ত বর্তমানের অন্যতম প্রাণশক্তি। ইতিহাসকে তিনি মনে করেন পরিবর্তনের রুহস্য উদঘাটনের আর বিভিন্নমুখী সম্ভাবনার বাস্তবসম্মত চিত্র অঙ্কনের প্রয়াস। বর্তমান গ্রন্থে তাঁর পর্যবেক্ষণ : রামমোহন-ভবানীচরণ-ঈশ্বরগুপ্তের হাতে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের শৈশব, প্যারীচাঁদ-বিদ্যাসাগর-মধুসূদন-দীনবন্ধুর হাতে কৈশোর, বঙ্কিমে যৌবনের উন্মেষ, রবীন্দ্রনাথে যৌবন এবং শরৎচন্দ্রের পর আধুনিকতাবাসীদের হাতে পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য। শ্রেণিসংগ্রাম ও সৃষ্টিশীলতার সূত্র ধরে লেখক চেয়েছেন অতীতের গর্ভ থেকে বর্তমানকে মুক্ত করতে এবং যুগান্তরের অস্ফুট মহান সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে।brbr bসূচিপত্র/bbr * সাহিত্যের সৃষ্টিপ্রক্রিয়া ও সাহিত্যস্রষ্টার ব্যক্তিত্বbr * বাংলা সাহিত্যের রূপান্তর : মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগbr * সমাজব্যবস্থার রূপান্তর : সামন্তশ্রেণির অবক্ষয়br * সমাজব্যবস্থার রূপান্তর : মধ্যশ্রেণির উত্থানbr * মধ্যশ্রেণির জীবনভাবনা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যbr * যুগসংক্রান্তির জীবনোৎকণ্ঠা : নবযুগের অভীপ্সাbr * বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যতbr
Abul Kashem Fozlul Haque আবুল কাসেম ফজলুল হক ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর গোটা পেশাজীবন কাটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে গবেষণা ও শিক্ষকতায়। ২০১১ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। তখন তাঁর লেখার বিষয়বস্তু ছিল সৌন্দর্য, প্রেম, প্রকৃতি ও জীবনদর্শনের অনুসন্ধিৎসা। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সময় তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে তিনি ১৯৬০-এর দশকে ছাত্র-আন্দোলনের প্রগতিশীল ধারায় সক্রিয় ছিলেন। সংস্কৃতি সংসদ, সুকান্ত একাডেমি, উন্মেষ, বাংলাদেশ লেখক শিবির, স্বদেশ চিন্তা সঙ্ঘ প্রভৃতি সংগঠনে থেকে তিনি বাংলাদেশের প্রগতিশীল চিন্তা ও কর্মে সক্রিয় ছিলেন এবং সর্বজনীন কল্যাণ ও প্রগতিশীল নতুন ভবিষ্যতের আশায় ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে লিখে চলছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ঢাকা শহরে থেকে পরিচিত ও স্বল্পপরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানত অর্থ সংগ্রহ করে দিয়ে ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তা করেছেন। আবুল কাসেম ফজলুল হক ১৯৬০-এর দশক থেকে নতুন রেনেসাঁস আকাক্সক্ষা করেন। তিনি মনে করেন ভালো কিছু করতে হলে হুজুগ নয়, দরকার গণজাগরণ। সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদি সকল বিষয়ে তাঁর লেখায় প্রগতির তাড়না কাজ করে।