সারা বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তির ঝোড়ো উন্নয়নের বন্যার ঢেউ বাংলাদেশেও এসে লেগেছে। দেখতে দেখতে প্রায় পঁচিশটির ওপর টিভি চ্যানেল এই মুহূর্তে বাংলাদেশে চলছে এবং আরো ক’টি আসছে। যে গতিতে চ্যানেল বেড়েছে, সে গতির সাথে তাল মিলিয়ে মানব-সম্পদ তৈরি হয়নি। এখন হচ্ছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এই গণ-মাধ্যমের ওপর শিক্ষাদান হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও এ মাধ্যমে ‘ক্রিয়া এবং সংশোধন’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও অনেক কর্মী তৈরি হয়েছেন, যারা এখন প্রগাঢ়ভাবে সক্রিয়।
টিভি গণ-মাধ্যম। মানব-কল্যাণের নিমিত্তে এখানে শিল্পকর্ম নির্মাণের কাজ হয়। যেকোনো শিল্পকর্ম নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি স্বকীয় নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এই নিয়মতান্ত্রিকতা অধ্যয়ন করার জন্যে বাংলাভাষায় লিখা বই-পুস্তক একেবারেই নেই- বিশেষ করে নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপটে। ‘ভিজুয়াল মোশন আর্ট নির্মাণে মৌলিক যন্ত্রাদির ব্যবহারিক কৌশল’ সম্ভবত প্রথম বাংলাভাষায় লিখা কৌশলিক পুস্তক। বর্তমানে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো সম্প্রচার জনিত একটি জটিল সাংঘর্ষিক-কাল অতিক্রম করছে। ভুল করার পর সঠিক বিষয়টি নির্ধারিত হচ্ছে। ভুলের পরিমান কম রাখার ক্ষেত্রে এই পুস্তক সহায়ক হবে।
টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণে কিছু কিছু বিষয়কে সরাসরি প্রত্যক্ষ করা যায়, কিছু কিছু বিষয় সম্পূরক হওয়া সত্ত্বেও আড়াল থেকে সহায়তা করে। আড়ালে থাকা বিষয়গুলো জানা থাকলে প্রকাশ-ভঙ্গি ঋদ্ধ হয়, রুচি ও শোভনীয়তা নজর কাড়ে। এইসব প্রকাশ্য, গোপন বা আড়ালে থাকা বিষয় নিয়েই এই পুস্তক। টিভি অনুষ্ঠান এখন তরুণ প্রজন্মের অনেকের কাছেই একটা স্বপ্নচারী ভুবন। এই সব মেধাবি তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সামান্য হলেও এই পুস্তকটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চ্যালেঞ্জিং পেশাকে আয়ত্তে আনতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মতান্ত্রিকতাকে করায়ত্ত করতে হয় এ বিষয়টি যে তরুণ বুঝবে তাকে এই পুস্তক বন্ধুর মতো সঙ্গ দেবে।
Title
ভিজুয়াল মোশন আর্ট নির্মাণে মৌলিক যন্ত্রাদির ব্যবহারিক কৌশল