‘হাসান ফকরীর পরিচয় মার্কসবাদী সংগঠক ও লেখক হিসেবে। তাঁর সঙ্গে যাঁদের ব্যক্তিগত পরিচয় আছে তাঁরা তাঁর সৌজন্য, সততা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সাহস ও প্রখর বুদ্ধি দেখে বিস্মিত হন। ৭১-এর যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের বিধ্বংসী কার্যকলাপ ও অবক্ষয় যাদের ব্যক্তিত্বকে পঙ্গু করতে পারেনি, হাসান ফকরী তাদেরই একজন। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক হাসান ফকরীর লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় এমনই মন্তব্য করেছেন। দ্রোহী পণ্ডিত অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ আরেকটি বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন- “...নানা গুণ-গৌরবে ধন্য ক্যুনিস্ট কর্মী ও কবিতা-প্রবন্ধ লেখক আর জনপ্রিয় গান বাঁধিয়ে, নাট্যকার হাসান ফকরী। ...তিনি অভীক তরুণের শক্তি ও সাহস আর সংকল্প নিয়ে গানের কবিতার, নাটকের, প্রবন্ধের মাধ্যমেই নয় কেবল, দেহ-প্রাণ-মন-সময় ও শ্রম দিয়ে জনগণের মধ্যে ক্যুনিস্ট কমরেড হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্যদিন কাজ করে চলেছেন। তাঁর প্রয়াসের ফসল অনেক নেই নেই করেও এ দৈশিক-সামাজিক আকালের কালে এমন মানবপ্রেমিক বিপ্লবী ব্যক্তি আমাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনি তাই আমাদের গর্ব।” হাসান ফকরী রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- পলিটিক্স বনাম পলিট্রিক্স, এসাে বিদ্রোহ করি, ধর্ম ও ঈশ্বর অস্বীকারে বাধা কোথায়, মুঠো মুঠো কান্না, হাসান ফকরীর কবিতা ও গান, বাঁচতে চাই, এপয়েন্টমেন্ট লেটার, তানাের এখন সারাদেশ, ভােটের ভ্যাট, ক্রাশ ফারাক্কা, একুশের গান গা’ক মেশিনগান, প্রেয়সীরা চায় রক্তশাডি, ঈদপাখিটার মাংস খাবাে, খর বায় বয়, যদি এমন হতাে, সারেঙ লঞ্চ ঘােরাও। হাসান ফকরী কাজ করেন সামাজিক কর্তব্যবােধ তাড়িত হয়ে, গণশক্তির উত্থান ঘটানাের চেতনায় তিনি সারাজীবন গণসংগঠন গণসংগ্রামের উপর জোর দিয়েছেন।