"তাফহীমুল কুরআন ৩য় খণ্ড" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া: এ তাফসীর গ্রন্থটি বিশেষ ও নির্বিশেষ সকল পাঠকের হৃদয়ে কুরআনের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টিকারী এক অনন্য তাফসীর। এ গ্রন্থটি তার পাঠকগণের হৃদয়-মনকে কুরআনের শিক্ষা, মর্মবাণী ও হিদায়াতের অনুসরণে উদ্বুদ্ধকারী এক মর্মস্পর্শী তাফসীর। এ তাফসীর তার পাঠকগণের অন্তরে আল্লাহর বাণী বুঝার, আল্লাহর হুকুম মেনে চলার এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আত্মনিয়ােগ করার দুর্বার প্রেরণা জাগিয়ে তােলে। | উর্দু ভাষায় লেখা এ খ্যাতনামা তাফসীর গ্রন্থটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে। | ঢাকাস্থ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী তাফসীর গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছে। আলহামদুলিল্লাহ এ গ্রন্থটির পাঠক চাহিদা খুবই ব্যাপক। উর্দু ভাষায় ছয় খণ্ডের গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় ঊনিশ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য ছয় জিলদেও প্রকাশ হয়েছে। পূর্বে সাধু বাংলায় অনূদিত হওয়ায় সহজ সরল ভাষায় সাধারণ পাঠকদের উপযােগী করে তাফহীমুল কুরআনের অনুবাদ করার দাবি চলে আসছিল। বহু চেষ্টা সাধনার পর সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রিসার্চ একাডেমী সে উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে নতুন অনুবাদ কাজ সম্পন্ন করা হয়। সে সময় একাডেমীতে কর্মরত রিসার্চ স্কলার মাওলানা আবদুল মান্নান তালিব ও অধ্যাপক মাওলানা মােজাম্মেল হক অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে এ অনুবাদ কাজ করেন। অনুবাদ সম্পন্ন হওয়ার পর একাডেমীর তৎকালীন চেয়ারম্যান বহু ভাষাবিদ ও শিক্ষাবিদ মরহুম আব্বাস আলী খান এবং হাফেজ আকরাম ফারূক সমগ্র অনুবাদ কর্মটি সম্পাদনা করেন।