"মৃৃত্যুশয্যায় শয়তানের ধোঁকা" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ < br> الحمد لله و کفی و سلام على عباده الذين اصطفی، ولاسيما على سيدنا المحتي ومن هذه الهدي.< br> কিছুকাল পূর্বে কয়েক বুযুর্গের ঘটনা ও নানা রকম রচনা অধ্যয়ন হয়েছিল আমার। সেগুলাের মাধ্যমে অন্তিম সময়ে মানুষের সামনে শয়তানের আবির্ভাব এবং সেই নাযুক মুহূর্তে মানুষকে ঈমানহারা করতে তার বহুবিধ চতুরতার জ্ঞান লাভ হয়। তখনই ছােট্ট কলেবরে একটি বই লিপিবদ্ধ করার ইচ্ছা পােষণ করেছিলাম, যেটি হবে শয়তানি ছলনার বিবরণ এবং সেই অপপ্রয়াস থেকে আত্মরক্ষামূলক আমলসমূহের বর্ণনাপত্র। কিন্তু ব্যস্ততা ও বেখেয়াল আমাকে সুযােগ দিল না। ফলে আমার ইচ্ছাটিও রূপ পেল না অস্তিত্বের। < br> ঘটনাপ্রবাহে গত ১৯ জিলক্বদ ১৩৫৬ হিজরীতে আমার শ্রদ্ধাস্পদ চাচা মাওলানা মুহাম্মদ নাঈম দেওবন্দী পরলোকগমন করেন। রূহ কবযের সময় আমি অধমের সম্মুখেই প্রায় দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত শয়তানের সঙ্গে তার বাদানুবাদ চলতে থাকে। এ অদ্ভুত দৃশ্যপট সেদিনই প্রথম প্রত্যক্ষ করলাম। মরহুম মাওলানার পেরেশানি ও তার উপদেশপূর্ণ ঘটনা পুরনাে ইচ্ছাকে তাজা করে দিল। < br> সে সময়ই লিখা হয়েছে এ-কয়েক পৃষ্ঠার বইটি। এ-ক্ষুদ্র বইটিতে প্রথমত লিখেছি শয়তানের উপদ্রব সম্পর্কে সহজ-সাবলীল বিষয়গুলােকে। তাউপর যােগ করে দিয়েছি মরহুম মাওলানার সংক্ষিপ্ত অবস্থা, যা ‘আননাঈমুল মুক্বীম' শিরােনামে বইটির শেষাংশে সংযুক্ত।