হরিপুরের তােরাব আলীর আদুরে ছেলে ড্যানিস। পিতা কৃষিকাজ করে অনেক কষ্টে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগান দেয়। আর সে রীতিমতাে লেখাপড়া করে না, রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে ভালাে রেজাল্ট করেছিল। অষ্টম শ্রেণী থেকে প্রমােশন ছাড়া ওপরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব ছিল না। একদিন রাতে খেতে বসে তােরাব আলী ছেলেকে বলে, বাবা রে তুই এবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিবি, মনােযােগ দিয়ে লেখাপড়া কর। রাজনীতি-টাজনীতি বাদ দে। এগুলাে গরিবের জন্য না। ড্যানিস পিতাকে বলে, তুমি এগুলাে নিয়ে মাথা ঘামাইও না। তুমি এসব বুঝবে না। পুত্রের এমন কথায় তােরাব আলীর মাথায় যেন বাজ বড়ল। সে সকালে সমস্ত বই-খাতা, যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ একত্র করে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ছেলেকে বলে, তােমাকে আর স্কুলে যেতে হবে না। তুমি অনেক বেশি বুঝে ফেলেছ। এদিকে গােবিন্দপুর গ্রামের ছমদ আলীর কন্যা ডায়ানা। এসএসসি পরীক্ষায় দুইবার অকৃতকার্য হয়। পরে বাউবি থেকে পাস করে। সে এখন অধিকার নামক একটি এনজিওতে কাজ করে। অতি আধুনিকা এ মেয়েটিকে চেনে না এমন লােক এ তল্লাটে নেই। ড্যানিসও তাকে চেনে। কারণ হরিপুর ও গােবিন্দপুর পাশাপাশি গ্রাম। দুজনই পাশাপাশি দুই স্কুলের শিক্ষার্থী।