বিভিন্ন ব্যস্ততার ফলে যেভাবে উচিত সেভাবে তাবলিগে সময় দেয়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু ইসলাম প্রচারে ছুটে চলা তাবলিগের লোকদের দেখলে এই বলে আফসোস হয় যে, যদি তাদের মতো আমিও তাবলিগে সময় ব্যয় করতে পারতমে। তাদের মতো আমিও যদি দুনিয়ার সকল কর্ম রেখে শুধুই আল্লাহর পথে লেগে থাকতে পারতাম। রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া দায়িত্ব তাদের মতো আমিও যদি বহন করে বেড়াতে পারতাম। রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেখে যাওয়া দায়িত্ব তাদের মতো আমিও যদি বহন করে বেড়াতে পারতাম।
তাবলিগ করতে গিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতো ত্যাগইনা স্বীকার করেছেন। শুধু মানুষকে ইসলামের পথে, এক আল্লাহর পথে আহবান করতে গিয়ে কতো লাঞ্ছনা আর অপমানের বোঝা বহন করেছেন। এসব ইতিহাসে চোখ বুলালে গা শিউরে ওঠে। হৃদয় কেঁদে ওঠে। চোখ থেকে তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
এক দিকে কাফেরদের লাঞ্ছনা, নির্যাতন। অন্যদিকে রাসুলের ভালোবাসা ও ধৈর্য। যে কারণে কাফেররা বলতে বাধ্য ছিলো,’লোকটির ধৈর্য কতো! এখনো তার নিরাশ হবার সময় হয়নি?’ এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেইতো শান্তির ধর্ম ইসলাম আমাদের কাছে পৌঁছেছে।
দাওয়াত ও তাবলিগের জন্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ত্যাগ ও ধৈর্যের দিকে তাকালে দ্বীন-ইসলামের প্রতি সামান্য হলেও দরদ সৃষ্টি হবে। দাওয়াত ও তাবলিগ নিয়ে কটাক্ষ ও নিন্দাকারীদের একটু হলেও অনুতাপ হবে।
কিতাবের অধিকাংশই হযরত মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভি রহ.’র হায়াতুস সাহাবা নামক গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিছু অংশ অবশ্য সিরাতে মুস্তফা থেকেও নেয়া হয়েছে।