‘সাধনা সংসদ' বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটি সামাজিক গবেষণাধর্মী সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সমাজ গড়ার কাজে এ সংগঠন কাজ করে চলছে। এ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও এর মূল্যায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমাজে তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে সাম্যবাদী সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পারে। রহিম-করিম ও যদু-মধু একই মাঠে, একই সমাজে সাম্যের মাঝে থাকতে পারে। সাধনা সংসদ এ উদ্দেশ্যেই প্রকৃত ধর্মীয় তাৎপর্যকে তুলে ধরে ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে কার্যক্রম গ্রহণ করে চলছে । জন্মলগ্ন থেকেই এ সংগঠনটি বাঙালি জাতীয়তাবাদভিত্তিক, ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে সামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছে। এক্ষেত্রে সংগঠনটি অনেক সাফল্য অর্জন করেছে এবং অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে যারা বিশেষভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের আজ স্মরণ করছি। বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম আবদুল জলিল, ভাষা সৈনিক মরহুম গাজীউল হক, উপাচার্য মরহুম প্রফেসর ড. মাজহারুল ইসলাম, মরহুম আলহাজ্ব মো. মহসিন, মরহুম আ ফ ম হাসান দাস্তগীর ও আরো অনেকে। এদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের অবদান এ সংগঠনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সাথে সাথে এ সংগঠনটি শিক্ষা-বিজ্ঞান-সাহিত্য-শিল্প ও উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরি প্রশিক্ষণের কাজ হাতে নেয়। এ সকল ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য শ্যামল বাংলা এডুকেশন ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। ফাউন্ডেশনটি নিয়মিত কাজ করে চলেছে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানমূলক গবেষণা নিয়ে এ ফাউন্ডেশন কাজ করছে । স্বল্প সময়ে উপযুক্ত শ্রমিক তৈরি করতে এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ্যাড. দেলওয়ার হোসেন ভূঁইয়া ২০০৫ খ্রি. হতে অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, কঠোর শ্রম ও সাধনায় শর্ট টাইম ব্রড এডুকেশন ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতিসহ K R W U L R I সম্বলিত বর্ণে একটি ফর্মুলা উদ্ভাবন করেছেন, যা উক্ত গ্রন্থে বিশদ ব্যাখ্যা তিনি তুলে ধরেছেন। উক্ত ফর্মুলায় অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব, যা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অল্প সময়ে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করার জন্য এ পদ্ধতি বেশ উপযোগী এবং তা বাস্তবভিত্তিক। এ পদ্ধতিতে সকল শ্রমিকরা সহজেই শিল্প কারখানায় কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করে দেশের বাইরেও কাজ করার সুযোগ অর্জন করবে।