“চেয়েছিলাম একদিন কেউ পাগলের মতো আমাকে ভালোবাসবে আমার চোখে তাকিয়ে শুধু নিজেকেই খুজবে কান্নার জল মুছে দিতে দিতে বলবে তোমাকে ভালোবাসি।
চেয়েছিলাম একদিন কেউ বেহিসেবি ভাবে আমাকে ভালোবাসবে আমাকে ছুঁতে না পারার যন্ত্রণায় দিশেহারা হতে হতে আমাকে তার ভেতরে নিতে নিতে বলবে তোমাকে ভালোবাসি...”।
মিতু অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে রাফির দিকে, ওর দুচোখে জল। এতো সুন্দর কথাগুলো! রাফি ভাই আপনি কি কিছু মনে করবেন আমি যদি একটু কাঁদি? আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। বলেই অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকে মিতু। ওর মনে হচ্ছে কেউ এসে ওর হাতটা ধরে বলুক, মিতু আমারও খুব বেশি প্রয়োজন তোমাকে কিন্তু বাস্তবে অনেক চাইলেও সেই প্রিয় মানুষ এসে হাত ধরেনা, হয়তো জানতেও পারেনা এই মধুর কথাটি শোনার জন্য একটা মেয়ে কতোটা অপেক্ষায় থাকে। ইফতি, রাফি আর মিতু, ভালোবাসার হিসেবহীন খেলায় যারা নেমেছে। তারা কেউ জানেনা তাদের গন্তব্য। ভালোবেসে কে কার হাত ছুঁয়ে যাবে আর আর কে কার হাত ছেড়ে দেবে সেটা তারা জানেনা। একজন শুধু মনে মনে বলে যাচ্ছে “মিতু তোমাকে ভালোবাসি” আর একজন দূর থেকে আজীবন বলে যাবে “মিতু তোমাকে ভালোবাসি” আর মিতু???মিতুর কানে কার সেই কথা পৌঁছাবে, মিতু কি সেটা জানে???
Farzana Mitu পৃথিবীতে প্রেম সব থেকে বড়ো একটা বিষয়। প্রেম না থাকলে হয়তো কোনো সংঘাতও থাকতো না। জীবন একঘেয়ে হয়ে যেতো। এমনটাই ভাবেন কথাশিল্পী ফারজানা মিতু। লেখালেখিতে তাই প্রধান উপকরণ- প্ৰেম। তবে কখনো কখনো প্রেমের চেয়েও মহান উপকরণ খুঁজেছেন। তিনি কিন্তু ঘুরে ফিরে বিরহ আর প্রেমই একাকার হয়ে উঠেছে তার লেখায়। শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে তারপর উপন্যাস। এরই মধ্যে লিখে ফেলেছেন দেড় ডজন। উপন্যাস। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় প্রতিদিনই ছাপা হচ্ছে কোনো না কোনো লেখা। কবিতা, ছোটগল্প, প্ৰবন্ধ সব শাখাতেই সমান বিচরণ। বাবা অন্তঃপ্ৰাণ । অভিমানী। খুব আবেগ প্রবণ এই কথাশিল্পীর জন্ম ১১ ডিসেম্বর। লেখালিখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। সোচার হয়েছেন নিজে, সচেতন করেছেন চারপাশের মানুষকে। চরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের ৩৫টি দেশ। বাংলাদেশ তাঁর স্বপ্নের ঠিকানা। তার প্রতি পাঠকের উৎসাহী করে প্রতিনিয়ত।