ভূমিকা মানবীয় ভূগোল একটি বিশাল বিষয়। এর সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক একটি গ্রন্থে ধারণ করানো এককথায় প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের প্রতি আমার কর্তব্য আংশিক হলেও পালন করতে পেরেছি। তবে এ কাজে কতটুকু সফল হতে পেরেছি তা তাঁরাই বিচার করবেন । বাংলা ভাষায় রচিত এ গ্রন্থে উপস্থাপিত বিষয়বস্তু যাতে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত, সূত্রানুগ এবং সবদিক দিয়ে উচ্চমানের হয় যে জন্য আমি যথেষ্ট সচেষ্ট থেকেছি। গ্রন্থপঞ্জীতে প্রদত্ত প্রামাণ্য গ্রন্থসমূহ ছাড়াও আরও বহু গ্রন্থ ও প্রবন্ধ থেকে সর্বাধুনিক আবিষ্কৃত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করে সহজবোধ্য ও সুশৃঙ্খলভাবে বর্তমান গ্রন্থে উপস্থাপিত করা হয়েছে। বক্তব্যকে স্পষ্ট ও দৃশ্যমান করে তোলার জন্য বহুসংখ্যক আলোকচিত্র ও মানচিত্র এ পুস্তকে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই রচিত হয়েছে। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি আমার মুখের ভাষার সাথে লিখিত ভাষার সাদৃশ্য রাখার। এ বইটিতে মানবীয় ভূগোলের বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর সেখানেই জোরটি বেশি দেয়া হয়েছে । বইটি প্রণয়নে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতার জন্য আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । বইয়ে সন্নিবেশিত মানচিত্রাদি অঙ্কনে সহায়তা করার জন্য হা-মিম কম্পিউটারের স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মাসুম সাহেবকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ! গ্রন্থটি যথাসম্ভব তথ্যে সমৃদ্ধ করে তুলতে যেসব পুস্তকের সাহায্য নিয়েছি কৃতজ্ঞতার সাথে তা স্বীকার করছি । সর্বশেষ ধন্যবাদ পারফেক্ট পাবলিকেশন্স-এর স্বত্ত্বাধিকারী কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলকে বইটি প্রকাশের জন্য । বাংলাভাষায় উচ্চশিক্ষা বিকাশের ব্যাপারে তাঁর যে আন্তরিক আগ্রহ এ পদক্ষেপ তারই পরিচয় বহন করে। এঁদের কারও ঋণ পরিশোধের নয়। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। ডাকনাম ফাহিম। তিনি একজন ফার্মাসিস্ট, শিক্ষক ও গবেষক। জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৪ অগাস্ট কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কাজিহাটি গ্রামে। পিতা মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মাতা রাশিদা খাতুন। শৈশব কেটেছে গ্রামে। পড়াশোনা শুরু করেছেন গ্রামের স্কুলে। গ্রাম থেকে প্রাইমারি পড়া শেষ করে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হন কিশোরগঞ্জ সরকারি বালকউচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে এখান থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সে বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বাধিক মার্কধারী হিসেবে পান ‘রায় সাহেব স্বর্ণপদক’। ২০০২ সালে গুরুদয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে স্নাতক এবং ফার্মাসিওটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ থেকে ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে মনবুকাগাকাশো বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে জাপান যান এবং সেখানে শিজুওকা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘অটোফেজি’। বর্তমানে তিনি আমেরিকার জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক। লেখকের স্ত্রী তানবিরা শারমিনও একজন ফার্মাসিস্ট। ছেলে আরহামকে নিয়ে তারা বসবাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। লেখক ওষুধ এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখেন দৈনিক পত্রিকাগুলোতে। এ পর্যন্ত তার ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘ওষুধের যথাযথ ব্যবহার’, ‘ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া’ ‘বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজার স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব’, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ এবং ‘আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা’ উল্লেখযোগ্য।