সবিনয় নিবেদন আধুনিক ছড়াসাহিত্যের রূপকার অন্নদাশংকর রায়ের বাড়িতে আমার একবার ছড়া পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। ছড়া শুনে তিনি লিখে দিয়েছিলেন, ‘দেবব্রত, তোমরা ছড়াকে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দাও! ছড়া, ছড়ানোর জিনিস।' সেই ছড়ানোর তাগিদেই এই বই। আমার আটটি প্রকাশিত ছড়াগ্রন্থের প্রথম দিকের চার-পাঁচটি বই পুনর্মুদ্রণ না হওয়ার কারণে সেগুলো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছিল পাঠকের স্মৃতি থেকে এবং নতুন পাঠকদের কাছে তুলে ধরার ইচ্ছেতেও এই ‘একশো হাসির আনন্দ'। এটি আমার ছড়ার প্রথম সংকলন। এই সংকলনে বেশিরভাগ হাসি এবং মজার ছড়াগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এই বইয়ের বেশিরভাগ ছড়াই গ্রন্থভুক্ত। কিছু ছড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, আর কিছু নতুন ছড়া নিয়েই এই বই। ছড়া যে বহুদিন ধরে লিখছি এমন নয়, তা বছর কুড়ি। আমার ছড়াগুলির মধ্যে চমক, জাদু বা অলীক কিছুই নেই। শুধু যে-সকল সত্য আর কল্পনা আমাদের চারপাশে ছড়ানো, সে-গুলিকে সহজ-সরলভাবে ছড়ায় তুলে নিয়েছি মাত্র। আমার সব ছড়া কিন্তু এই সংকলনে নেই । এই বইয়ের নামকরণ করে দিয়েছেন আমার ছড়া-কবিতা লেখার সর্বক্ষণের পরামর্শদাতা কবি শ্যামলকান্তি দাশ। আর, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উৎসাহ দিয়েছেন অনেক কবিবন্ধু ও আবৃত্তিশিল্পীরা, তাঁদের সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। দে'জ পাবলিশিং-এর প্রকাশক সুধাংশুশেখর দে অনেক যত্ন নিয়ে এই বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁকে ধন্যবাদ। আমার খুব পছন্দের শিল্পী সুব্রত মাজি। তিনি বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করে দেওয়ার জন্য তাঁকেও ধন্যবাদ। আমি সবচেয়ে ঋণী আমার ছোটো-বড়ো সকল বয়সের পাঠক-পাঠিকাদের কাছে। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত আমার ছড়া পড়ে অনেকেই তারিফ করে আমার উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সকলকে জানাই ভালোবাসা।