কাহিনী সংক্ষেপ : ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কথাসাহিত্যিক মারিও ভার্গাস ইয়োসার বর্তমান অনূদিত উপন্যাসের স্প্যানিশ ভাষায় মূল গ্রন্থ ‘লা সিউদাদ ই লোস পেরয়োস’ প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে; আর তার ইংরেজি ভাষান্তর ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’ নামে প্রকাশ পায় ১৯৬৩ সালে। মূল স্প্যানিশ বইটির বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘শহর আর কুত্তাগুলো’ যেখানে ইংরেজি নামকরণটি একটু বেমানান ঠেকে। বঙ্গানুবাদে তাই এ বইয়ের নামকরণ করা হলো, ‘সামরিক সারমেয় কথা’। মূল বইটি প্রকাশকালে লেখকের বয়স ছিল ছাব্বিশ। পেরুর রাজধানী লিমা শহরের লিওনসিও প্রাডো সামরিক আবাসিক স্কুলে পাঠরত অবস্থায় শারীরনির্যাতন আর চরিত্রহীনতার যে দুঃসহ অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল এই বইয়ের প্রেক্ষিতে তারই তিক্ত প্রতিফলন দুর্নিবার। তৎকালীন সামরিক কর্তাব্যক্তিরা অবশ্য এই উপন্যাসকে রেহাই দেয়নি, শহরের মাঝখানে তূপাকৃতি করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। যাই হোক, এই আত্মজৈবনিক উপন্যাসের প্রতিটি পরিচ্ছেদ এতটাই সচেতনভাবে সাজানো যে প্রধান এক চরিত্রের প্রকৃত পরিচয় শেষতক গোপন রেখেছিলেন লেখক। আশা করি বাংলায় অনূদিত এই বইয়ের নিবিড়পাঠ পাঠকের ভালোলাগার সাথে সাথে তাকে ভিন্নতর অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ করবে।
অনুবাদক পরিচিতি বিপ্লব বিশ্বাস (জন্ম : ১৯৫৪ সালে) মৌলিক তথা ভাষান্তরিত গল্পের রচনাকার হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাপুষ্ট। তিনি দুটি প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের প্রণেতা। এছাড়া বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার অজস্র গল্প, প্রবন্ধ ছড়িয়ে আছে। তার রচিত প্রথম গল্প ‘সমতট’ আয়োজিত সারা বাংলা গল্প প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। তিনি কেন্দ্রীয় সাহিত্য একাদেমীর নথিভুক্ত অনুবাদক। বর্তমানে লেখালেখির সাথে যুক্ত থেকেও তিনি দক্ষিণবঙ্গের একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধানের দায়িত্বে আসীন।
মন্তব্য অনস্বীকার্য ক্ষমতা ও দক্ষতার একটি বৃহৎ কাজ সানডে টেলিগ্রাফ ‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’ সা¤প্রতিক দশকে রচিত স্প্যানীয় বিশিষ্ট উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত। লেখকের বাসভূমি পেরুতে এই শক্তিশালী সামাজিক বিদ্রুপকাহিনী কর্তৃপক্ষের ক্রোধ এতটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল যে জনসমক্ষে তারা এই বইয়ের হাজার কপি পুড়িয়ে ছাই করেছিল। এই উপন্যাসের প্রেক্ষিত লিমা শহরের লিওনসিও প্রাডো সামরিক একাডেমী যেখানে একদঙ্গল ক্যাডেট মর্ষকামী র্যাগিং, সামরিক শৃঙ্খলা, বন্দিদশা আর একঘেঁয়েমির বিষবৃত্ত ভেঙে চুরমার করতে চাইছে। কিন্তু তাদের শয়তানী ছলাকলায় শুরু হয়ে যায় বিশ্বাসঘাতকতা, খুন আর প্রতিহিংসার বাতাবরণ যা পুরো সামরিক সংগঠনকেই বিপদগ্রস্ত করে। মারিয়ো ভার্গাস ইয়োসা কঠোর, মজাদার তথা নবউদ্ভাবন শক্তিতে ভরপুর। সবসময়েই তার লেখা পাঠককে সাগ্রহে এগিয়ে নিয়ে যাবার শক্তি ধরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই উপন্যাস যে কারণে নিজেকে বিশিষ্টতা দান করে তা অবশ্যই যতটা না তার তীক্ষ্ণ শত্রুভাবাপন্নতার জন্য তারচে ঢের বেশি এর আন্তর্জাতিকতার জোরে।
লেখক পরিচিতি মারিও ভার্গাস ইয়োসা লাতিন আমেরিকার ছোট্ট দেশ পেরুর আরিকুইপায় ২৮ মার্চ ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব কাটে বলিভিয়ার কোচাবাম্বায়Ñ বিবাহ-বিচ্ছিন্ন মা আর বয়োবৃদ্ধ দাদু-দিদিমার সাথে। ১৯৪৫ সালে পরিবারটি আবার পেরুতে ফিরে আসে। ১৯৪৬ সালে লিমা শহরে ইয়োসার মা-বাবার পুনর্মিলন হয়। চৌদ্দ বছর বয়সে ১৯৫০ সালে ইয়োসাকে লিওনসিও প্রাডো নামে একটি আধাসামরিক আবাসিক স্কুলে দু-বছরের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রথম উপন্যাসে (‘দ্য টাইম অব দ্য হিরো’ ১৯৬২) এই স্কুলের তিক্ত অভিজ্ঞতাই বর্ণিত যেখানে আবাসিক ছাত্ররা শিখেছিল শারীরনির্যাতন আর চরিত্রহীনতার ইতরামিপূর্ণ যুগলপাঠ। এই উপন্যাসই স্পেনের গুরুত্বপূর্ণ বিব্লিওটেকা ব্রেভে পুরস্কার পেয়েছিল। সামাজিক উৎপীড়নে আক্রান্ত বয়ঃসন্ধিক্ষণ বিষয়ক মনস্তাত্ত্বিক নিবিড়পাঠ মারিও ভার্গাস ইয়োসার অধিকাংশ রচনার উপজীব্য। ইয়োসা ২০১০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
Jorge Mario Pedro Vargas Llosa, 1st Marquis of Vargas Llosa (born March 28, 1936), more commonly known as Mario Vargas Llosa, is a Peruvian writer, politician, journalist, essayist, college professor, and recipient of the 2010 Nobel Prize in Literature. Vargas Llosa is one of Latin America's most significant novelists and essayists, and one of the leading writers of his generation. Some critics consider him to have had a larger international impact and worldwide audience than any other writer of the Latin American Boom. Upon announcing the 2010 Nobel Prize in Literature, the Swedish Academy said it had been given to Vargas Llosa "for his cartography of structures of power and his trenchant images of the individual's resistance, revolt, and defeat". Vargas Llosa rose to fame in the 1960s with novels such as The Time of the Hero (La ciudad y los perros, literally The City and the Dogs, 1963/1966), The Green House (La casa verde, 1965/1968), and the monumental Conversation in the Cathedral (Conversación en la catedral, 1969/1975). He writes prolifically across an array of literary genres, including literary criticism and journalism. His novels include comedies, murder mysteries, historical novels, and political thrillers. Several, such as Captain Pantoja and the Special Service (1973/1978) and Aunt Julia and the Scriptwriter (1977/1982), have been adapted as feature films.