"থৃলার গল্পসঙ্কলন-৩" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: যেকোনাে ভাষার সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলাে সেই ভাষার সাহিত্যের বিভিন্ন ধারাকে সমৃদ্ধ করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলা সাহিত্যে থৃলার। ছােটগল্পের পরিসর বৃদ্ধি এবং মান। উন্নত করার উদ্দেশ্যে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত। হয়েছে ‘থৃলার গল্পসঙ্কলন’ ও ‘থৃলার। গল্পসঙ্কলন ২। বাংলা সাহিত্যে বিশ্বমানের থৃলার গল্পের ক্ষেত্র বৃদ্ধির সাথে সাথে এই গল্পসঙ্কলনের অন্যতম। আরেকটি উদ্দেশ্য ছিলাে নতুন। মৌলিক থৃলার লেখক সৃষ্টি করা। প্রথমটির সাথে সাথে থৃলার গল্পসঙ্কলন তার দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিও বেশ চমৎকারভাবেই পূরণ করে চলেছে বলা যেতে পারে। কারণ থৃলার সঙ্কলনের গল্প লেখকদের অনেকেই ইতিমধ্যে মৌলিক থৃলার উপন্যাস লেখক হিসেবে পাঠক সমাদৃত। প্রথম এবং দ্বিতীয় সঙ্কলনের সার্বিক সাফল্যকে ধারণ করে আরাে বড় পরিসরে এবার প্রকাশিত হচ্ছে ‘থৃলার গল্প সংকলন-৩’। যথারীতি সঙ্কলনের সমন্বয় করা হয়েছে একদল নতুন এবং পুরনাে লেখকদের গল্প প্রতিবারের মতাে এবারও ‘থৃলার গল্প সঙ্কলন-৩' এ বিদেশি বিখ্যাত লেখকদের গল্পের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে দেশি প্রেক্ষাপটে লেখা দেশীয় মৌলিক থৃলার গল্প, গল্পের মান এবং লেখনি শক্তিতে যা কোনাে অংশেই বিদেশী প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়ে কম নয়।
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ খ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক বছর অধ্যয়নের পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তার সৃজনশীল সত্ত্বা বিকাশের উপযোগী আরেকটি বিষয় তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলার পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন ভিনদেশী বিখ্যাত থ্রিলারগুলো অনুবাদ করার মধ্য দিয়ে। ২৬টিরও বেশি বইয়ের এ অনুবাদক পরবর্তীতে মনোনিবেশ করেন মৌলিক থ্রিলার রচনায়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বই হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো ‘নেমেসিস’, যা তার মৌলিক লেখা হিসেবে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। মূলত এই বইয়ের জনপ্রিয়তাই তাকে পর পর চারটি সিকুয়েল লিখতে অণুপ্রেরণা দিয়েছিলো। সেগুলো হলো ‘কন্ট্রাক্ট’, ‘নেক্সাস’, ‘কনফেশন’ এবং ‘করাচি’। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘জাল’, ‘১৯৫২ নিছক কোনো সংখ্যা নয়’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘কেউ কেউ কথা রাখে’ ইত্যাদি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বই সমগ্র এর মাঝে আজ পর্যন্ত ঠাই পেয়েছে মোট ১১টি থ্রিলার উপন্যাস। এর মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’, যা পশ্চিমবঙ্গেও সাড়া জাগিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ঢাকা এবং কলকাতা উভয় স্থান থেকেই বইটির সিকুয়েল ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি’ ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশনী থেকে বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও কলকাতার বিখ্যাত প্রকাশনী ‘অভিযান পাবলিশার্স’ লেখকের মৌলিক থ্রিলারগুলোর ভারতীয় সংস্করণও প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি শীঘ্রই তার উপন্যাস অবলম্বনে ভারত থেকে ওয়েব সিরিজ বের হওয়ারও কথা রয়েছে। অতএব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের রচনাশৈলীর কদর অনস্বীকার্য। অনুবাদক এবং থ্রিলার লেখক ছাড়াও নাজিমের আরেকটি পরিচয় হলো- তিনি বাংলাদেশের বাতিঘর প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক।