"কমপ্লিট (বিগিনার, অ্যাডভান্সড ও প্রোফেশনাল) মাস্টারিং মাইক্রোসফ্ট এক্সেস-ভার্সন ২০১৩, ২০১০ এন্ড ২০০৭"বইটির সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা: আপনাদের অনেকের মাঝেই মাইক্রোসফট অফিসের অন্যান্য প্রােগ্রামের তুলনায় Microsoft Access নামের ডাটাবেজ প্রােগ্রামটি সম্বন্ধে অহেতুক ভয় রয়েছে। এটি নাকি কঠিন ও জটিল প্রােগ্রাম। আমার বিশ্বাস এই বইটি অনুশীলনের পর আপনি ঠিক উল্টা কথাটিই বলবেন। আর এই বইটির জন্য সমস্ত কৃতিত্বের দাবিদার হচ্ছে- আমার বইয়ের পাঠকরা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই Access এর নতুন সংস্করণের একটি বইয়ের জন্য রীতিমত মিছিল করেছেন, দ্বিতীয়ত হচ্ছেন- জ্ঞানকোষের শাহীদ ভাই, তিনি দাবির পাশাপাশি আমাকে উৎসাহ জোগাচ্ছিলেন- অবশেষে বইটি এলাে পাঠকদের মাঝে। Access হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ডাটাবেজ প্রােগ্রাম। আকারের দিক থেকে ছােট হলেও ব্যাংক, বীমা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, হাসপাতাল ইত্যাদিতে ব্যবহৃত ডাটাবেজ সংরক্ষণ, অ্যানালাইসিস, হিসাবরক্ষণ ইত্যাদিতে ব্যবহার করার জন্য Access সত্যিই জনপ্রিয়, শক্তিশালী, সংরক্ষিত একটি প্রােগ্রাম। বইটি Access 2013, 2010, এবং 2007 সকল ভার্সনের ইউজার যেন ব্যবহার করতে পারেন সেভাবে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ভার্সনের পৃথক ছবিগুলাে পাশাপাশি দেওয়া আছে। তবে একটি সফটওয়ার সমন্ধে সম্যক ধারনা লাভের জন্য এবং beginners দের জন্য, মেনু (রিবন ট্যাব) কমান্ড মনে রাখবার জন্য সহায়ক। মেনু কমান্ডের পাশাপাশি Alt এবং Keyboard কমান্ডগুলিও রইলাে। আর বরাবরের মতাে এবারেও বলবাে, আমি অতিরিক্ত আলােচনার বদলে ব্যবহারিক প্রয়ােগে বিশ্বাসী। সেই উদ্দেশ্যেই বইটি প্রােজেক্ট নির্ভর করে লেখা হয়েছে। মেনু এবং টুলবারের উপর গতানুগতিক আলােচনা বর্জন করেছি। অনেকটা প্রােজেক্ট করতে করতে সমস্ত মেনু এবং টুলবার শিখে ফেলার মত ব্যাপার। Teach yourself বা নিজে শিখুন- এ প্রক্রিয়া রপ্ত করার কৌশল আলােচনা করেছি বইটিতে। এই বইয়ের পাঠক হিসেবে, আপনিই হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমালােচক বা মন্তব্যকারী। আর আপনাদের মন্তব্য আমার কাছে মূল্যবান, কারণ আপনিই বলতে পারবেন আপনার উপযােগী করে বইটি লেখা হলাে কিনা অর্থাৎ বইটি কিভাবে পাবলিস হলে আরও ভাল হতাে। সামগ্রিক ব্যাপারে আপনাদের যে কোন পরামর্শ আমাকে উৎসাহিত করবে।
Title
কমপ্লিট (বিগিনার, অ্যাডভান্সড ও প্রোফেশনাল) মাস্টারিং মাইক্রোসফ্ট এক্সেস-ভার্সন ২০১৩, ২০১০ এন্ড ২০০৭ - Access
অভিনেতা হিসেবে সুখ্যাতি কুড়ানো বাপ্পি আশরাফ কর্মজীবনে শুধু অভিনয়ই করে যাননি, সুনাম কুড়িয়েছেন লেখালেখির মাধ্যমেও। টেলিভিশন মিডিয়ার কল্যাণে আমরা প্রায় সবাই-ই চিনি এই অভিনয়শিল্পীকে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নাটক, টিভি সিরিয়াল, টেলিফিল্ম ও সিনেমায় তার সরব উপস্থিতি ও মানসম্পন্ন অভিনয়ের জন্য। বিশেষ করে 'কমন জেন্ডার' ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার' এই দুটি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গুণী এই অভিনেতা ও লেখক জন্মগ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলার মিলপাড়ায়, যার ফলে তার শৈশব কেটেছে গড়াই নদীর সুন্দর চর এলাকায়। তবে বাবার সরকারি চাকরির কারণে বেশি দিন এক জায়গায় থাকা হয়নি তার। বাবার সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আর তিনি শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছেন ঝিনাইদহের গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল ও কে. সি. কলেজে। স্কুল ও কলেজ পাশ করার পর তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আবদুল্লাহ আল মামুন থিয়েটার স্কুলের একাদশ ব্যাচের ছাত্র, যেখানে তিনি নিয়েছেন অভিনয়ের পাঠ। কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি 'নোভা কম্পিউটার' এর স্বত্বাধিকারী। এরই ধারাবাহিকতায় বাপ্পি আশরাফ এর বই সমূহ এর প্রায় সবগুলোই কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচিত। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটোশপ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি দক্ষতা রাখেন এবং এসকল বিষয়ে অন্যদের সম্যক ধারণা দিতেই তিনি তার বইগুলো রচনা করেছেন। বাপ্পি আশরাফ এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'মাস্টারিং এক্সেল এক্সপি-২০০৩', 'কমপ্লিট এডোবি ফটোশপ', 'ওয়েব পেজ ডিজাইন (HTML) কম্পিউটারে হাতেখড়ি', 'এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিএস ৬', 'মাস্টারিং ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট', 'উইন্ডোজ ৮ এন্ড ৭', 'কোয়ার্ক এক্সপ্রেস-৭' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অভিনয় ও কম্পিউটার নিয়ে লেখালেখি করেই বেশ কেটে যাচ্ছে বাপ্পি আশরাফের কর্মজীবন।