দরসে হাদীসের গুরুত্ব গোটা মুসলিম বিশ্বের সর্বত্রই হাদীসের দরস দেয়া হয়ে থাকে। বিশেষভাবে সিহাহ্ সিত্তা এবং মুয়াত্তান জামিয়া পর্যায়ের প্রায় সব গুলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নেসাবভুক্ত আছে। এমনকি যেসব আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিভিন্ন ভাষার গ্রন্থাদি অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার সুযোগ রয়েছে, সেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরসে হাদীসের গুরুত্বও উল্লেখযোগ্য। মোট কথা হাদীসের মর্যাদা যেহেতু পবিত্র কুরআনুল কারীমের পরেই। তাই তার দরস তাদরীসের গুরুত্বও অনেক বেশী। হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে- বুখারী শরীফের মর্যাদা যেহেতু সবচেয়ে বেশী, তাই তার দরসের গুরুত্বও সবচেয়ে বেশী। হাদীস শরীফের দরসে বসার সুযোগ হওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। কেননা, হাদীসের দরসে বসার সুযোগ হওয়ার অর্থ হলো, স্বয়ং নবী কারীম (সঃ) এর পবিত্র মজলিসে বসার সুযোগ হওয়া। সুদীর্ঘ বার চৌদ্দটি বছর ধরে আমরা যা শিখেছিলাম তা ছিল হাদীস ও তাফসীরের আনুষঙ্গিক শিক্ষা। এ যাবত আপনারা যত হাদীস শুনেছেন বা ইয়াদ করেছেন তা ছিল শুনে শুনে বা মাধ্যমে। সরাসরি বুখারী শরীফ বা সিহাহ্ সিত্তা অধ্যয়নের মাধ্যমে নয়। দীর্ঘ দিনের কাংখিত রত্ন ভাণ্ডার আজ আপনাদের হাতের নাগালে। কত সৌভাগ্য আপনাদের যে, কোন মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি হাদীস অধ্যয়নের সুযোগ এসেছে।