"অপরাজিত" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: কোন জাতি তার ভবিষ্যতকে তার বর্তমান ও অতীত থেকে আলাদা করতে পারে না। যে কাফেলার পূর্বসূরীরা তাদের যাত্রা পথে নিজেদের রক্তধারা প্রবাহিত করে গেছে কেউ তাকে থেমে যেতে দেখেনি। দেখুন, আমার মনে কখনাে এ ব্যাপারে সংশয় জাগেনি যে, আমার আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে না। যদি আমাকে কখনাে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখােমুখি হতে হয় তাহলেও আমি ভাববাে, এজন্য আমি কতটুকু দায়ী এবং আমার জাতিকে চিন্তা ও কর্মের সঠিক পথ দেখানাের ক্ষেত্রে আমি কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছি। কাফেলা চলতে শুরু করলে তার পথে চরাই উতরাইও আসে। রাত যদি অন্ধকার হয় এবং হাতে যদি মশাল না থাকে তাহলে ধাক্কা খেতে হয় বেশি। আল্লাহ আমার হাতে কলম দিয়েছেন এবং আমি আমার সময়েরও অনেক দূরে দেখতে পাই। আমি পূর্ণ গুরুত্ব ও বিশ্বস্ততার সাথে আল্লামা ইকবালের সােনালী স্বপ্নের তাবির লিখে যেতে থাকবাে। যখন আমার শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং আমার হাত থেকে কলম পড়ে যাবে তখন এ দুনিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস নেবার সময় আমি পরম প্রশান্তি অনুভব করতে পারবাে এই ভেবে যে, আমার জীবনের পবিত্র মিশন পূর্ণ করার কাজে আমি আমার দেহ-মন-মস্তিষ্কের সমস্ত শক্তি নিয়ােগ করতে পেরেছি।
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।