ফ্ল্যাপে লিখা কথা তিব্বত শব্দটি ১৯৫০ দশক হতে আমাদের দেশে ব্যাপক ভাবে প্রচলিত। তবে তা দেশ হিসাবে নয় পণ্যের বিজ্ঞাপন হিসাবে। তখন অতি অল্প শিক্ষিত লোকই ঐ দেশ সম্পর্কে আগ্রহী ছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামার তিব্বত হতে আগমন ও ভাতে আশ্রয় গ্রহণ সংক্রান্ত সংবাদ শিক্ষিত সমাজে কৌতুহল সৃষ্টি করলেও অধিকাংশ লোক মনে করতেন এবং এখনও করেন তিব্বত এমন একটি দেশ যার অবস্থান ভারতের উত্তরে, হিমালয় পর্বতশ্রেণীর মধ্যে এবং চীনের নিকটে। ভূগোল সম্পর্কে যারা জ্ঞান রাখেন তারাও এদেশ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতেন পারেননি কারণ বহু পূর্ব হতেই এদেশটি দুর্গম ও কঠোরতার আবরণে ঢাকা একটি নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল।
আজ হতে প্রায় ৩০/৩৫ বৎসর পূর্বে রাহুল সাংস্কৃত্যায়নের ‘তিব্বত সোয়া বছল’ বইটি আমার হাতে এলে বইট পড়ে এদেশ সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে উঠি। বেইজিং এবং কাশগড় ভ্রমণের পর তিব্বত আমার কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। তখন হতে তিব্বত সীমানায় পা দেওয়া পর্যন্ত কৌতূহলের দুই মেরু এক করতে পারিনি। বৃটিশ লেখক জেমস হিলটনের বই ‘সাংগ্রিলা, দি লস্ট হরাইজন’ তিব্বত সম্পর্কে এক অজানা কৌতূহল, রোমাঞ্চে ভরা দুর্গম এবং বৈচিত্র্য পূর্ণ স্বপ্ন নির্ভর তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। অবাক হয়ে ভঅবি আমাদের এত কাছের দেশ তিব্বত অথচ সে দেশ সম্পর্কে এত কম আমরা জানি। ‘সাংগ্রিলা এক স্বপ্নের দেশ’ তারই প্রতিফলন।
সূচিপত্র * যাত্রা শুরু * কাঠমাণ্ডু * কোডারীর পথে * জগমুর পথে * নায়ালামের পথে * লালুং ল * তিংরির পথে * রাম্বুকের পথে * পাং-লার পথে * গায়েংচু লা * লাৎসের পথে * লাকপা -লা * ইয়ার লং শাংবো জিয়াং বা ব্রহ্মপুত্র নদ * জিগাৎসের পথে * তিব্বতী গ্রাম * তাশি লুনপো মনেষ্ট্রি * গ্যাংচির পথে * লাসার পথে * কোরা-লা * কাম্বা-লা ও ইয়ামড্রোক সো * লাসায় * পোটালা প্যালেস * গোলমন্দ যাত্রা এবং ফেরৎ আসা * নামচো লেক * যাযাবরদের গ্রাম * ইয়াং বাজে ইন হট স্প্রিং * থারমাল প্ল্যান্ট * পোটালা প্যালেসের পেছনে ড্রাগন রাজার পুল * দালাই লামার সামার প্যালেস নরবলিংকাবা রত্নে বাগান * জোকাং মনেষ্ট্রি * বারখোর বাজার * মুসলিম এলাকা * লাসা থেকে বুঝু হয়ে জিগাৎসের পথে * লাৎসের পথে * সাগার পথে * গিয়ামিয়া হয়ে পারইয়াং এর পথে * কেলাসের বেইজ ক্যাম্প দারচনের পথে * মানসসরোবর * মানসসরোবর পরিক্রমা * সাংগ্রিলা
মাহবুবুর রহমান ফারুক (জন্ম ১৯৪২-এর ২ জুলাই) ১৯৬৬ সালে পরিসংখ্যানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা পেশায় কর্মজীবন আরম্ভ করেন। দীর্ঘ ৩৫ বৎসর তিনি ঝিনাইদহ সহ ফৌজদারহাট, ময়মনসিংহ গার্লস, রাজশাহী ও বরিশাল ক্যাডেট কলেজসমূহে। শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন । তিনি ২০০০ সালে পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে অধ্যক্ষ থাকাকালীন অবসরে যান। বর্তমানে। তিনি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়ােজিত আছেন। বাংলা একাডেমী থেকে ১৯৯৪ সালে তাঁর লেখা ব্যবহারিক ও গাণিতিক পরিসংখ্যান (১-৩ খন্ড), ২০০৬ সালে হজ্ব, ওমরাহ ও উন্নতজীবন এবং ২০০৭ সালে যে নদী মরুপথে (উপন্যাস) প্রকাশিত হয় ।