"আত্মতত্ত্ব ভেদ-সপ্তম খণ্ড" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ মানুষ মাত্রই সৃষ্টিকর্তা আলােচনায় আদিসৃষ্টি বােঝে এবং সেখানেই সবাই কেন্দ্রিভূত থাকে। ফলে শাস্ত্রীয় গ্রন্থ থাকে অনেকেরই বােধগম্যের সম্পূর্ণ আড়ালে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, শাস্ত্রীয় গ্রন্থের বর্ণনাই অন্তঃসৃষ্টি বিষয়ক। অর্থাৎ সেখানে প্রথম মানুষ, প্রথম ইলিশ মাছ, প্রথম তালগাছ প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা একেবারেই অনুপস্থিত। তাই সনাতন সম্প্রদায়ের ব্রহ্মা-বিষ্ণু-নারদ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ল্যাটিন লর্ড-গড-ম্যাসেঞ্জার, আরব্যদের আল্লাহ-মুহাম্মদ-রাসুল এবং বাঙালীদের কাই-সাই-বসিধ একই সত্তা। যাদের অবস্থান মানবদেহেই। মহাধীমান বলন কাইজি এ সত্তাদির সঠিক অবস্থান ও নিখুঁত বর্ণনা করেছেন তাঁর আত্মতত্ত্ব ভেদ গ্রন্থের ৭ম খণ্ডে। পাণ্ডুলিপি পাঠ করে আমরা অভিভূত না হয়ে পারিনি। তাই এ মহামূল্যবান জ্ঞানের আলাে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার নিখাদ বাসনা থেকেই তা প্রকাশ করার মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি। আমরা। পাঠককুল উপকৃত হলেই আমাদের শ্রম সার্থক। আউয়াল মােল্লা প্রাক্তন সভাপতি বলন আধ্যাত্মিক পরিবার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ বরপা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
একবিংশ শতাব্দির বিশিষ্ট সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক গবেষক বলন কাঁইজি, বেদ ত্রিপিটক তৌরাত যাবুর ইঞ্জিল কুরান ও লালন ইত্যাদি গ্রন্থ গবেষণা করে, দেখতে পান যে, সব গ্রন্থের মূলশিক্ষা এক ও অভিন্ন। তিনি আরাে লক্ষ্য করেন যে, বিশ্বের সব মহাগ্রন্থ মানব দেহের দৈবিকাদি ও সংখ্যা সূত্রাদি ব্যবহার করেই নির্মাণ করা হয়েছে। রূপক আকারে নির্মিত গ্রন্থ গ্রন্থিকা সবই আধ্যাত্মিক-তত্ত্ব, দেহতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্ব ভিত্তিক। তাঁর গবেষণাকৃত পাণ্ডুলিপি-গুলাের মধ্যে জ্ঞান পিপাসু শিষ্যগণের উদ্যোগে বলনতত্ত্বাবলি, আধ্যাত্মিকবিদ্যা পরিচিতি, আত্মতত্ত্ব ভেদ (১ম ও ৩য় খণ্ড), পরম্পরাতত্ত্ব ভেদ (১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড), পবিত্র লালন, (লালন) আধ্যাত্মিক অভিধান ও (লালন ভাবার্থের) আধ্যাত্মিক অভিধান ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার পাশাপাশি বাংলাভাষায় আধ্যাত্মিক বিদ্যার ভিত্তি (বেজমেন্ট ওফ স্পিরিচুয়েলিজম, basement of Spiritualism) নির্মাণের লক্ষ্যে আধ্যাত্মিক সূত্রাবলি, আধ্যাত্মিক টীকাসমগ্র আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান ও প্রয়ােজনীয় আধ্যাত্মিক অভিধানাদি প্রণয়নের জন্য, তিনি এককভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন।