তেলেগুতে এই গ্রন্থ লেখার আগে আরএন ও বাপুজী মিলে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে মূল ক্যাপিটাল গ্রন্থের হুবহু তেলেগু অনুবাদ শুরু করেন, যা সমাপ্ত করতে প্রতিটা ২০ পৃষ্ঠার মোট ৭০টা নোট বই লেগেছে, এই কাজ সমাপ্ত করতে তাদের ৭/৮ বছর লেগেছে। তেলেগুতে তখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল গ্রন্থ অনুবাদ হয়নি, কিন্তু পরবর্তী সময়ে এটা অনুবাদ হয়েছে। প্রকাশের উদ্দেশ্যে তারা এই অনুবাদ করেননি, মাতৃভাষায় বার বার পড়ে ক্যাপিটাল গ্রন্থের মূল চিন্তাকে আত্মস্থ করতেই তারা এটা করেন। ইংরেজি অনুবাদও তারা বহুবার পড়েছেন, এভাবে এই গ্রন্থ যতদূর সম্ভব ভালভাবে আত্মস্থ করেই আরএন ক্যাপিটাল গ্রন্থের প্রাথমিক পাঠ হিসেবে এই গ্রন্থ লেখায় হাত দেন। ভূমিকায় বাপুজী লিখেছেন, আরএন বলছেনÑ একজন উচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী এই প্রাথমিক পাঠ পড়ে ভাবতে পারেন, যেসব পাঠক খুব কমই জানেন তাদের কথা মাথায় রেখে এই বই লেখা হয়েছে, খুবই ভাল কথা, কারণ এটা আমার জন্য আনন্দেরই বটে। তবে একজন বোদ্ধা পাঠক যদি মূল ইংরেজি পাঠ পড়ে আরও জানতে চান, সেটা তো ভালই হবে, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যেকোন নতুন বিজ্ঞান একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কাছে যেমন একজন অল্পশিক্ষিত পাঠকের কাছেও তেমন। নতুন বিজ্ঞান একজন প্রবীণ বুদ্ধিজীবীর কাছে যেমন, একজন কিশোর ছাত্রের কাছেও তেমন। তাই এমন নতুন বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের সহজ পাঠ হিসেবে কোন প্রাথমিক পাঠ যদি লেখা হয়, সেটা এই দুই ধরনের পাঠকের কাছেই তো সুবিধাজনক হবে। যে কোনো বিষয় সহজে স্বল্প সময়ে জানতে পারাটাই তো ভালো। শুরুতেই আরএন-এর বিবেচনায় ছিল কাদের উদ্দেশ্যে, কেন এই গ্রন্থ লিখতে হবে। মাধ্যমিক পাস বা তার নিচের পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই গ্রন্থ লেখায় অগ্রসর হন। এক্ষেত্রে আরএন মূল ক্যাপিটাল গ্রন্থে অনুসৃত ক্রমানুবর্তিতা কঠোরভাবে অনুসরণ করেছেন। তারা বলছেন, ক্যাপিটাল গ্রন্থের তেলেগু অনুবাদ ও ইংরেজি অনুবাদ তারা বহুবার পড়েছেন, এই প্রাথমিক পাঠও তারা বারবার পড়েছেন এবং সময় পেলে এখনও পড়েন, তবুও যতবার পড়েন মার্কসের এই মহাকৃতি ততই সহজ হয়ে আসে। তাহলে একজন নতুন পাঠকের জন্য ক্যাপিটাল গ্রন্থ আত্মস্থ করতে কীভাবে এবং কোন্ পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে? এটা এক বিশাল প্রশ্ন।