ফ্ল্যাপে লিখা কথা
প্রেম-প্রকৃতি-তারাখচিত আকাশ হরিতকি ঝাউবনে তুমুল অন্ধকার! তৃষিত অধর বিলক্ষণ বিচ্ছেদ বুনে গেছে অবারিত। বেমক্কা বিফল শৃঙ্গারে লেখকের আত্নাদিষ্ট প্রেম-প্রণয়ীর ধূলোর সংসার মৃত্তিকা উদরে গজিয়েছে সত্যিকারের গল্পধারা। আকাশ মাটি ও প্রকৃতি এখানে ধরা্ দেয় জীবন আয়না রূপে। সত্যসিদ্ধ সাহস লেখকের ব্যভিচারী না হয়ে জীবন শিল্প হয়ে উঠে তাঁর ‘মুদিরায় মথিত’ গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্প কথনে। ক্রমশ শাহান সাহাবুদ্দিনের পাঠক হয়ে উঠে জীবন-ঘনিষ্ঠ ক্রীড়নক। গল্পের গাঁথুনিতে জন্ম নেয় অহল্যা ঊষর প্রান্তরে তপ্ত রৌদ্রাভ পৃথিবীর করোটিতে কর্ষিত জীবনী বৃক্ষের উপ্ত বীজ হয়ে। যা যাপিত দাহের লেলিহান দাবানল অলিন্দের দ্রাঘিমায় এঁকে দেয় অযুত লক্ষ ফেনিল আশা-নিরাশা। তিমিরে টেমির অন্ধকারে সীমানাহীনের সীমানায় তাঁর গল্প জীবন জিজ্ঞাসায় পার্থিব পৃথিবীর দেবালয় গৃহে শৈল্পিক আচড় কাটে। উত্তুঙ্গ বাতাসে কাঁপে প্রণয়ীর হৃদয়ের সবুজ পাতা। শঙ্কিত হৃদয়ের অক্ষাংশে ঘটে যায় খুন। অরক্ষিত বনাঞ্চলে হরিণীর সন্ধিহান কপট চোখেরা ব্যস্ত সমেত লোপাট হৃদয় কারাগারে। পাঁজর ছেঁড়া চেতনার লং প্লেটা বেড়ে চলে একটানা হিম শীতল প্রণয়-সঙ্গীতে। পত্রপুটে রেখে যায় প্রেম তো বিষ নয় আরাধনা বিনাশে অথবা মৃত্তিকায়!
গল্পসূচি
* অলৌকিক দেখছি তোমাকে
* ঘুমিয়ে আছে মৃত্যুর মতন
* ছায়া মানুষ
* মদিরায় মথিত
* শূন্য নৌকা
* স্থিতি চাই
* বাবা ব্যাঙ শাহ্ সমাচার
* সুষমা
* একটি খুনে নেপথ্যে
* নক্ষত্রের পানে চেয়ে, বেদনার পানে