“হযরত নূহ (আ.)" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বিশ্ব মানব সভ্যতার হেদায়েতের অগ্র সৈনিক যুগের নবী রাসূল (সঃ) গণ । যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত নিজ নিজ জাতিকে হিদায়াতের পতাকার মধ্যে আশ্রয় নেয়ার জন্য খুব সাধনা করে চলেগেছেন। আর তাদের এই আহবানের কারণেই তারা সহ্য করেছেন অসহনীয় দুর্ভোগ, অহেতুক নির্যাতন করা হয়েছে তাদের উপর এবং অনেক জালাতন করা হয়েছে তাদেরকে। তবুও তারা সত্যের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবং সত্যের আহ্বানকে তারা কখনও পরিত্যাগ করেননি। বরং যতই তারা নির্যাতিত ও অপমানিত হয়েছেন ততই তারা দ্বীনের দাওয়াতকে আরাে বাড়িয়েছেন কখনও তারা পিছপা হননি যতই তারা লাঞ্ছিত অপমানিত ও অপদস্থ হয়েছেন। ততই তারা দিনের দাওয়াত ও দ্বীনের কাজকে আরাে সামনে অগ্রসর করেছেন। তারা কখনও অপমানকে অপমান মনে করেননি নির্যাতনকে নির্যাতন মনে করেনননি। যদি তারা নির্যাতনকে নির্যাতন মনে করতেন তাহলে দিনের। দাওয়াত দিয়ে মানুষকে বুঝায়ে শুয়ে দিনের পথে আনতে পারতেন না। দিনকে দুনিয়ার জামিনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন না। একমাত্র তাদের এই কষ্টের কারণে আজ দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমস্ত নবীদের মধ্যে সবচাইতে বেশি হায়াত পেয়েছেন হযরত নুহ (আঃ) পবিত্র কালামে পাকে হযরত নূহ (আঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন যে হযরত নূহ (আঃ) নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় দীর্ঘ সাড়ে নয় শত বৎসর দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু হযরত নূহ (আঃ)এর জাতি যখন তার দাওয়াত কবুল করল না এবং তার আহবানে সাড়া দিল না এবং শুনলাে না তখন তার জাতির উপর চেপে পড়ল আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে কঠিন আযাব যার কারণে সমস্ত জাতি ধ্বংস হয়ে গেল।