"বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫' বইটি আমার কোনাে মৌলিক রচনা নয়। দীর্ঘদিন যাবত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মতাে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সুযােগ পাওয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (২০১৩ সালে সংশােধিত) সম্পর্কে বাস্তব ধারনা লাভ করি। শ্রমজীবী মানুষের আইনানুগ অধিকার বাস্তবায়ন, কমপায়েন্স ও পারস্পরিক সম্পর্কের আইনগত ভিত্তি সমুন্নত করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান শ্রমিকের সুযােগসুবিধা বৃদ্ধি, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি সহজীকরণ, শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পেশাগত রােগ প্রতিরােধ, শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, গােষ্ঠি বীমা সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৫ সালে প্রণীত শ্রম বিধিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন এর আলােকে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিবৃন্দের কঠোর পরিশ্রমের ফসল এই শ্রম বিধিমালা-২০১৫। এ বিধিমালাটির উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে, এটি শ্রমবান্ধব এবং নারী শ্রমিকের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই বইটিতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরসহ সকল শিল্প কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও মালিক পক্ষের অধিকার ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে আইনী কাঠামাের আওতায় বিশদভাবে আলােচনা করা হয়েছে। যা পড়ে শ্রমিক ও শিল্প মালিকগণ উপকৃত ও সচেতন হবেন। শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শ্রম বিধিমালা-২০১৫' ও সেই সাথে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০১০' (২০০৬ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ১৮তে প্রদত্ত ক্ষমতা ও বিধিমালা প্রণয়ন সম্পর্কিত আইনও সংযােজিত করা হলাে, আশা রাখি যারা শ্রমিক শ্রেণি ও শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করেন তারাসহ সকল শ্রেণির পাঠকের চাহিদা পূরণে সফল হবে এই বই। সকলের জন্য শুভ কামনা রইল।।