“সত্যের সন্ধানে মানুষ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ভারতীয় লােকায়ত দর্শনের অনন্য পথিকৃত গবেষক ও সংস্কারবিমুক্ত সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় নতুন প্রজন্মকে আপসহীন বস্তুবাদী দর্শনের প্রাঙ্গনে উদ্দীপিত করবার ব্রত গ্রহণ করে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে নিরলস সংগ্রাম করে চলেছেন। এই সুস্থ মানবিক। প্রেরণা থেকেই তিনি শিশু-কিশােরদের বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিবাদী। মানসিকতা গড়ে তুলবার জন্য রক্তমশাল' পত্রিকার আমল থেকে। চিরজয়ী কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। সেইসব গ্রন্থের অন্যতম হল ‘ক্ষুদে। শয়তানের রাজত্ব। জীবানু-বিষয়ক এমন গ্রন্থ বাংলা ভাষায় এক স্পর্ধিত ব্যতিক্রম। ১৯৯২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বিদ্যাসাগর পুরস্কার'-এ। সম্মানিত অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯ নভেম্বরর ১৯১৮ সালে । ১৯৪২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় দর্শন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞান ও সমাজ বিষয়ে গবেষণা করে ডি লিট হন। নতুন দিল্লীর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ফিলােসফিক্যাল রিসার্চ-এর। ন্যাশনাল ফেলাে শ্রীচট্টোপাধ্যায় ইংরেজি ও বাংলায় অসংখ্য গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন যেগুলি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশিষ্ট। পণ্ডিত মানুষদের কাছে সমাদৃত হয়েছে। তাঁর রচিত কয়েকটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : Lokayata: A study in Ancient Indian Materialism, History of Science and Technology in Ancient India, Indian Atheism, Science and Society in Ancient India, Religion and Society, ভারতে বস্তুবাদ প্রসঙ্গে, লােকয়ত দর্শন, ভারতীয় দর্শন, নিষিদ্ধ কথা । নিষিদ্ধ দেশ, পৃথিবীর ইতিহাস, চল যাই বনে, যে গল্পের শেষ নেই।
Debiprasad Chattopadhyaya (জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯১৮ - মৃত্যু: ৮ মে, ১৯৯৩) ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক। তিনি প্রাচীন ভারতের দর্শনের বস্তুবাদকে উদ্ঘাটন করেছেন। তার সবচেয়ে বড় কাজ হল লোকায়তের প্রাচীন দর্শনকে তিনি বিরুদ্ধপক্ষের বিকৃতি হতে রক্ষা করেন এবং তা সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানের ইতিহাস ও বিজ্ঞানের পদ্ধতি সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন বিশেষ করে প্রাচীন চিকিৎসক চরক ও শ্রুশ্রুত সম্পর্কে।